ছিল শুঁয়োপোকা, হয়ে গেল চকোলেট! ইঞ্জিনিয়ারের আবিষ্কার যেন ‘মিষ্টি’ চমক
ODD বাংলা ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার এক ইঞ্জিনিয়ার ওয়েনডি ভেসেলা শুঁয়োপোকা থেকে চকোলেট তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। কী ভাবে তৈরি হচ্ছে সেই চকোলেট?
নতুন প্রকার চকোলেটের স্বাদ চেখে দেখতে কার না ভাল লাগে? যদি সেই চকোলেট হয় প্রোটিনে ভরপুর, তা হলে তো কথাই নেই। আচ্ছা ধরুন, আপনি জানতে পারলেন কোনও চকোলেট আদতে শুঁয়োপোকা দিয়ে তৈরি! তখনও কি খেতে ইচ্ছা করবে সেটি? পারবেন কি মুখে তুলতে?
দক্ষিণ আফ্রিকার এক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওয়েনডি ভেসেলা শুঁয়োপোকা থেকে চকোলেট তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। শুঁয়োপোকা থেকেও এত সুস্বাদু চকলেট তৈরি করা যায় তা চেখে দেখে হতবাক ক্রেতারাও।
শুঁয়োপোকা থেকেই ওয়েনডি তৈরি করেছেন ময়দা। আর সেই ময়দা দিয়েই বানানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চকোলেট, বিস্কুট, কেক, প্রোটিনবার। ‘মোপেন ওয়র্ম’ নামে পরিচিত এই বিশেষ শুঁয়োপোকাটির দেহে থাকা প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে বানানো হচ্ছে সেই সব বিশেষ চকোলেট সামগ্রী।
ওয়েনডি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে দেশ বিদেশ থেকে গ্রাহকরা আসছেন। তাঁর বানানো এই অভিনব চকোলেট বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে আফ্রিকায়। সম্প্রতি এক খাদ্যমেলায় ওয়েন্ডির তৈরি এই প্রোটিনবার ও চকোলেটের প্রদর্শনও করা হয়েছে। সেই মেলায় তাঁর এই উদ্যোগ দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।
অনেকেই বলেছেন, তাঁরা একেবারেই পোকা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এই চকোলেট খেলে মনেই হচ্ছে না যে এটি শুঁয়োপোকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই চকোলেটের স্বাদ অতুলনীয়।
বাণিজ্যিক স্বার্থে এই বিশেষ ধরনের শুঁয়োপোকার চাষ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন ওয়েনডি। ভবিষ্যতে নিজের এই ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
এই ধরনের শুঁয়োপোকার দেহে রয়েছে প্রোটিন ও আয়রন। এই বিশেষ প্রজাতির শুঁয়োপোকা চাষ করা খুব সহজ। ‘মোপেন ওয়র্ম’ পরিবেশবান্ধব। এই শুঁয়োপোকার চাষ করা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। মোপেন নামের গাছেই থাকে এই শুঁয়োপোকা। আফ্রিকার দক্ষিণপ্রান্তের শুকনো অঞ্চলে এই শুঁয়োপোকার আধিক্য দেখা যায়। নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এরা মোপেন গাছ থেকেই শুষে নেয়। আলাদা করে জল বা জমির প্রয়োজন পড়ে না এদের জন্য।
Post a Comment