চোখ বন্ধ করে কামড় বসান প্রেমিকার দেওয়া চকলেটে



 ODD বাংলা ডেস্ক: চকলেট খেলেই মোটা হয়ে যাবেন, এমনটা ভেবে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না সে আমোদ থেকে। সবকিছুরই ভালো দিক থাকে। আজকের দিনটা শুধু চকলেটের জন্যই। এ দিনটায় বরং চুপচাপ কামড় দিন ‘তার’ উপহার দেওয়া চকলেটে। মন ভালো হবে, সঙ্গে শরীরও। আর সেটি যদি হয় ডার্ক চকলেট, তবে তো কথাই নেই।

চকলেটে চিনি এবং ফ্যাট জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি, অত্যন্ত কোমল স্বাদের এই খাদ্যের নাম খারাপ করেছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবিসিটির মতো নানা অসুস্থতার ভয় জড়িয়ে গিয়েছে এর সঙ্গে। কিন্তু চকলেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি, তার অনেক ভালো দিক রয়েছে। ঠিক বুঝেছেন, কোকোর কথা হচ্ছে।


সামান্য কোকো আপনার শরীর-মনের নানা দিকে নজর রাখতে পারে। যে চকলেটে কোকোর মাত্রা বেশি, মাঝেমধ্যে তেমন কিছু খেলে বরং যত্নই পাবে শরীর। যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সক্ষম কোকো। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদ্‌যন্ত্রটিও খানিক যত্নে থাকবে।


গবেষণা বলছে, যারা চকলেট খেতে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হরওয়ার আশঙ্কা তুলনায় কম। আরও ভাল দিক আছে এই সুখাদ্যের। এতে যেমন ত্বক ভাল হয়, তেমনই আবার মজবুত হয় স্মৃতিশক্তি।


চকলেটের জন্য বিখ্যাত যেসব দেশ


পৃথিবীর অনেক দেশই চকলেটের জন্য বিখ্যাত। এরমধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। আধুনিক চকোলেটের জনক হলেন জোসেফ ফ্রে। ইনি ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ডাচ কোকোর সঙ্গে অপসারিত কোকো মাখন মিশিয়ে প্রথম চকলেট পেস্ট তৈরি করেন। ইউরোপের সাধারণ মানুষের কাছে চকোলেট পৌঁছতে আর তেমন দেরি হয়নি।


১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ক্যাডভেরি’ নামে একটি ছোট কোম্পানি চকোলেট ক্যান্ডির বক্স ইংল্যান্ডে বাজারজাত করতে থাকে। এর কয়েক বছর পরই মিল্ক চকলেট বাজারে নিয়ে আসে নেসলে। এরপর চকোলেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়। মার্কিনীদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।


বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চকোলেট শিল্পে বিনিয়োগকৃত বাৎসরিক পুঁজির পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার এবং একজন মার্কিনী প্রতি মাসে কমপক্ষে হাফপাউন্ড চকলেট খেয়ে ফেলে। বর্তমানে ইউরোপ বা আমেরিকা নয় সাড়া বিশ্বে পৌঁছে গেছে চকোলেট।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.