এই কোণ দূষিত হলে গৃহস্বামীর জীবনে বাড়ে আর্থিক কষ্ট, হতে পারে কঠিন রোগ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: Vastu Shastra-এ প্রতিটি দিক ও উপদিকের নিজস্ব গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। বাস্তু অনুযায়ী চিন্তাভাবনা করে বাড়ি নির্মাণ করলে শুভ ফলাফল লাভ করা যায়। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিমের কোণটি নৈঋত্য কোণ নামে পরিচিত। এটি কোণটি সেই বাড়িতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের চরিত্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এই দিকটি কলুষিত থাকলে সেই বাড়িতে বসবাসকারী লোকেদের চরিত্র কলুষিত থাকে। এ ছাড়াও অনেকেই তাঁদের প্রতি ঈর্ষান্বিত থাকেন। এঁদের জীবনে পারস্পরিক শত্রুতার কারণে অবসাদ দেখা দিতে পারে। এমন বাড়িতে বসবাসকারী জাতকদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি মামলা হলে, তাতে জয় লাভের জন্য এঁদের প্রচুর কাঠখর পোড়াতে হয়।



সেরা ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্টে পাবেন 50% ছাড়

দক্ষিণ-পশ্চিম অর্থাৎ নৈঋত্য কোণের অধিপতি রাক্ষস। এই উপদিকটি শত্রু নাশ করে। তবে এই কোণের কারণে অনেক সময় ব্যক্তির প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। বাড়ির নৈঋত্য কোণে দোষ থাকলে সেই পরিবারে নেতিবাচক শক্তির বাস হয়। সেই বাড়িতে বসবাসকারী ব্যক্তিরা আকস্মিক সংকটের জালে জড়িয়ে পড়ে।



নৈঋত কোণ দূষিত থাকলে পায়ের কষ্ট বাড়ে


এই কোণের অধিপতি রাহু। নৈঋত্য কোণ দূষিত থাকলে গৃহস্বামীর দুই পা ও নিতম্বের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রাহু। নৈঋত্য কোণ খালি বা এখানে কাঁটা গাছ থাকলে গৃহস্বামী অসুস্থ থাকে, শত্রু এঁদের সবসময় কষ্ট দিত থাকে এবং এমন পরিবার থেকে সমৃদ্ধিও দূরে সরে যায়। আবার নৈঋত্য কোণে মন্দির থাকলে পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলার পায়ের রোগ ও ব্যথা হতে পারে।



স্নানের পর এই ৫ কাজ আপনাকে কাঙাল করে দিতে পারে, রেগে যান শনি!


আর্থিক সংকটের কারণ


জন্মছকের অষ্টম ও নবম স্থান নৈঋত্যের প্রভাবে থাকে। তাই এই দিকের শুভ প্রভাব লাভের জন্য এই স্থানকে ভরী রাখা উচিত। কিন্তু নৈঋত্য খালি হলে গৃহস্বামী আর্থিক অনটনের মুখোমুখি হতে পারেন। অন্যদিকে ঈশান কোণের তুলনায় নৈঋত্য নীচু হলে ও জলের প্রবাহ ঈশান থেকে নৈঋত্যের দিকে হলে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। আবার দক্ষিণ দিকের বারান্দা ঢালান যুক্ত হলে স্ত্রী ও পশ্চিম দিকে বারান্দা ঢালান যুক্ত হলে পুরুষ আর্থিক সংকটের শিকার হতে পারেন।


নৈঋত্য কোণে রান্নাঘর থাকলে কলহ বাড়ে


বাস্তু শাস্ত্র মতে নৈঋত্য কোণে রান্নাঘর থাকলে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন কলহ লেগেই থাকে। এ ছাড়াও বাড়ির সদস্যরা গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগতে পারেন। সমগ্র ঘরের নৈঋত্য কোণ ভারসাম্য যুক্ত হওয়া উচিত। তা না-হলে এর দুষ্পরিণাম ভোগ করতে হয়। নৈঋত্যের রান্নাঘরের খাবারও বিষাক্ত হয়ে পড়ে। এই কোণে বহুবছর ধরে রান্নাঘর থাকলে গৃহস্বামীর দুরারোগ্য ব্যধির সম্ভাবনা থেকেই যায়। এখানে রান্নার পর বেশিক্ষণ খাবার রেখে দেবেন না। আবার নৈঋত্যের রান্নাঘরে বাসী খাবার রাখতেও বারণ করছে জ্যোতিষ শাস্ত্র।



সম্প্রসারিত নৈঋত্য কষ্ট বাড়ায়


নৈঋত্য কোণ সম্প্রসারিত অর্থাৎ বাইরের দিকে বেশি বেরিয়ে থাকলে সেই পরিবারে নানান রোগের বাস হয়। গৃহস্বামীর গুরুতর সার্জারি করতে হতে পারে। নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে বেশি বড় হলে গভীর রোগের শিকার হন জাতক।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.