ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল দার্জিলি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalmpong), কার্শিয়াং (Kurseong), শিলিগুড়ি (Siliguri), আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। যদিও কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভুটান। তারই প্রভাব পড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। তবে কম্পনের তীব্রতা খুব বেশি ছিল না। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা কোথাও ছিল ৩.১ ও কোথাও ছিল ৪.১। স্থায়িত্বও খুব বেশিক্ষণ ছিল না। ফলে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে একে টানা বৃষ্টি, তার উপর রাত-দুপুরে ভূমিকম্পের ঘটনায় পাহাড় থেকে সমতলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।


সেরা ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্টে পাবেন 50% ছাড়



জানা গিয়েছে, এদিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে ওঠে প্রতিবেশী দেশ ভুটান (Bhutan)। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভুটানের সামস্তে জোংখাগ এলাকা। এটা ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৭। তবে কম্পন খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তবে ভুটানের ভূমিকম্পের প্রভাবেই কেঁপে ওঠে সংলগ্ন দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। যদিও রাত ১২টা নাগাদ ভূমিকম্প হওয়ায় এবং কম্পনের মাত্রা কম থাকায় অধিকাংশই টের পায়নি।


প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ে টানা ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। প্রতিবেশী রাজ্য অসম (Assam) তো ভাসছে। প্রতিবেশী দেশ ভুটান (Bhutan) এবং সিকিমেও (Sikim) ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। গত মঙ্গলবার সিকিমেও ধসে দেওয়াল চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আবার টানা বৃষ্টিপাতের জেরে ইতিমধ্যে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি সহ বেশ কয়েকটি জায়গাতেও ধস নেমেছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তো প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এর উপর ভূটান সহ দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভূকম্পন আতঙ্ক আরও বাড়াল।



এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে আরও ৫ দিন উত্তরবঙ্গের ৫ জলা- দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, আত্রেয়ী সহ পাহাড়ি নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। এর উপর এই রাতের ভূমিকম্প নতুন করে আতঙ্ক বাড়াল।



পাহাড়ে বৃষ্টির জের! আত্রেয়ী নদী ছুঁয়েছে বিপদসীমা, জলমগ্ন বালুরঘাট শহর


উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেরও কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এমনকি উত্তর-পূর্বের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬। তবে প্রাণহানির কোনও খবর ছিল না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.