সম্রাটের প্রতি রাতের শয্যাসঙ্গী নির্ধারণ করা হত অংক কষে
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রাচীন ইতিহাস অনেকটা অবাক করা ছিলই বটে! আজকাল আমরা যেটা ভাবতেই পারি না এমন অনেক কিছুই করা হতো সেসময়। এটিকে বলা যায় পূর্বের গণিতের কিছুটা ভুলে যাওয়া ইতিহাস। প্রাচীন গ্রীসের পতনের সময় থেকেই পশ্চিমে বিজ্ঞানের অগ্রগতির শুরু।
মানুষের গাণিতিক যাত্রার শুরু হয়েছিল মিশর, মেসোপটেমিয়া এবং গ্রীসে। তাদের সংস্কৃতির মূল ভাষা ছিল সংখ্যা এবং গণনা। তবে প্রাচীন গ্রিস যখন পতনশীল হয়ে পড়ে তখন পশ্চিমে গণিতের অগ্রগতি প্রায় বন্ধই হয়ে গেল। সেসময় প্রাচ্যে নতুন করে এই গণিতের সংস্কৃতি শুরু হয়।
গাণিতিক ঐতিহ্যের বেশিরভাগ অংশ তার প্রাপ্য সম্মান পায় নি। গ্রীসের লোকেরা গণিতের বিকাশকে ভুলে যান। যা পশ্চিমাঞ্চলকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে এবং আধুনিক বিশ্বের জন্ম দিয়েছে।
পূর্বের দেশগুলোতে গণিতের কদর কমে গেলেও, পশ্চিমের দেশগুলোতে নতুন করে গণিতের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। তখনকার সম্রাটরা নানাভাবে গণিতের ব্যবহার করতো। চীনের সম্রাটদের একজন গানিতিক গুরু ছিলেন। যিনি প্রাচীন চীনের গণিতের জনক ছিলেন বলে জানা যায়। কিংবদন্তি ইয়েলো সম্রাট ২৬৯৮ থেকে ২৫৯৮ এ রীতি অনুসারে শাসন করেছিলেন। কাঠের ঘর, গাড়ি, নৌকা, ধনুক, তীর এবং অর্থের ব্যবহার প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃতিত্ব পায়। সম্রাটের স্ত্রী রেশম সংস্কৃতির আবিষ্কারক ছিলেন।
তখনকার দিনে সম্রাটের উপদেষ্টারা নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। এ পদ্ধতিকে বলা হতো জ্যামিতিক ক্রমবৃদ্ধি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সম্রাটরা তাদের হারেমের নারীদের সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন। সম্রাট ১৫ রাতের মধ্যে ১২১ নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন। রীতিমতো অংক কোষে শয্যাসঙ্গী ভাগ করা হত। ভাবছেন এর গানিতিক ব্যাখ্যা আবার কি? তার তালিকাটা নির্ধারিত হতো এভাবে-
> প্রথম রাতে সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে,
> দ্বিতীয় রাতে তিনজন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী,
> তৃতীয় রাতে নয়জন পত্নী,
> চতুর্থ রাতে সাতাশজন উপপত্নী,
> পঞ্চম রাতে একাশিজন দাসী।
এরকম করে পনেরো রাতের মধ্যে হারেমের সকল নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন সম্রাট। প্রতিটি দলে নারীর সংখ্যা তার আগের স্তরের নারীদের তিন গুণ বেশি।গাণিতিক পরামর্শদাতারা প্রদত্ত ধারণা থেকে জ্যামিতিক অগ্রগতির সন্ধান পেয়েছিলেন।
এই গননায় এটিও নিশ্চিত করা হত যে, সম্রাট পূর্ণ চাঁদের নিকটতম রাতগুলোতে নারীদের সঙ্গে কাটাবেন। এর মাধ্যমে সম্রাটের উত্তরাধিকারী অর্থাৎ তার সন্তান-সন্ততি যেন মর্যাদাশীল নারীর গর্ভে জন্ম নেয়। এই সম্রাটের শয্যার তালিকায় কেবল গণিত নয়। সাম্রাজ্যের বংশ পরম্পরাও সৃষ্টি হতো, গাণিতিক হিসাব অনুযায়ী।
এমনকি আজকের দিনেও চীনারা সংখ্যা তত্ত্বের গুরুত্বে বিশ্বাস করেন। বিজোড় সংখ্যাকে পুরুষ আর জোড় সংখ্যাকে নারী হিসেবে ভাবা হয়। আট সংখ্যাটি সৌভাগ্য নিয়ে আসে সবার জন্য। প্রাচীন চীনারা সংখ্যার ছক দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খেলা তৈরি করেছিলেন। এরমধ্যে সুডোকু অন্যতম সংখ্যার খেলা।
Post a Comment