কোন ভয় কাজ করে আপনার সন্তানের মনে? রাশি ধরে জেনে নিন
ODD বাংলা ডেস্ক: শিশুর মতো পবিত্র ও নির্দোষ মন অন্য কারও নেই। আবার প্রতিটি শিশুই পরস্পরের থেকে পৃথক। কোনও কোনও বাচ্চা ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত দৃঢ়চেতা, কেউ কেউ আবার অন্তর্মুখী, একাকী থাকতে ভালোবাসে এরা। আবার এমনও কিছু বাচ্চা আছে, যাঁদের মধ্যে নানান দুর্বলতা যেমন ভয় ইত্যাদি দেখা যায়। সন্তান কোন কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত তা খুঁজে বের করা প্রতিটি মা-বাবার কাছেই একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষ শাস্ত্র আপনার সাহায্য করতে পারে। জ্যোতিষ শুধু আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎই জানিয়ে দেয় না, বরং সন্তানের স্বভাব এমনকি কোন কোন বিষয় তার মনে ভয় কাজ করে তা-ও জানাতে পারে জ্যোতিষ শাস্ত্র। আপনার সন্তান সবচেয়ে বেশি কোন জিনিসে ভয় পায়, তা তার রাশি মিলিয়ে জেনে নিন।
মেষ রাশি
নিজেকে ব্যক্ত করতে অনেক সংঘর্ষ করতে হয় এই রাশির বাচ্চাদের। কিন্তু যখন এঁরা নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়, তখন নিজের মনে কথা প্রকাশ করার সুযোগ না-পাওয়ার সম্ভাবনা এদের মনে ভয়ের সঞ্চার করতে পারে। এই রাশির বাচ্চারা অন্যের কথা শুনতে বিলম্ব করে না। কিন্তু সর্বশক্তি ও অধিকার প্রয়োগ করে নিজের মনের কথা যে কাউকে জানাবে, তা-ও করে উঠতে পারে না এরা। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে, এই জাতকরা মনে মনে কামনা করতে শুরু করে, যাতে সকলে বিশেষত অভিভাবকরা এদের উপেক্ষা করে যায়।
বৃষ রাশি
এই রাশির বাচ্চারা অন্তর্মুখী হয়ে থাকে। নতুন পরিবেশ ও নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করা এদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। সকলের সঙ্গে মিশতে প্রচুর সময় ব্যয় করে বৃষ রাশির বাচ্চারা। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা এবং কী ভাবে, কোন পথে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যাবে, তার চিন্তাভাবনাই এই বাচ্চাদের মনে ভীতির সঞ্চার করে। এ কারণে এই জাতকরা অনেক সময় ভিড় স্থান, অনুষ্ঠান ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে ভালোবাসেন। কোনও কথা এড়িয়ে যাওয়ার উপযুক্ত মনে করেন এই জাতকরা।
মিথুন রাশি
একাকীত্বে ভোগা, একাকী থেকে যাওয়া এই রাশির বাচ্চাদের সবচেয়ে বড় ভয়। তবে জ্যোতিষ মতে এই রাশির বাচ্চারা গুছিয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারে। নিজের মনোভব ব্যক্ত করার ক্ষেত্রেও এরা অত্যন্ত পটু। নিজের মনের কথা বলার জন্য সবসময় কাউক না-কাউকে খুঁজতে থাকে। তবে এদের কাছে কথা বলার মতো কেউ না-থাকলেই এরা ভীত হয়ে যায়। এ কারণে সবসময় কারও না-কারও সংস্পর্শে থাকতে ভালোবাসেন এই রাশির জাতকরা।
কর্কট রাশি
স্বভাবগত দিক দিয়ে এই রাশির বাচ্চারা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ। তাই এমন বাচ্চা আশপাশে থাকলে অভিভাবক ও বয়স্কদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত। তাঁরা যেমন এমন কোনও কথা না-বলে দেন বা এমন কিছু না-করে বসেন, যাতে বাচ্চার আবেগ আহত হয়। এই রাশির বাচ্চারা অনেক সময় সহজেই অপমানিত অনুভব করে নেন। আবেগ আহত হওয়া বা অপমানিত হওয়ার ভয় কাজ করে এই রাশির বাচ্চাদের মনে।
সিংহ রাশি
স্বভাবগত দিক দিয়ে সিংহ রাশির বাচ্চারা সবসময় সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়। অনুষ্ঠান বা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে ভালোবাসে এঁরা। মা-বাবা তাদের কত ভালোবাসে, তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না এই রাশির বাচ্চা। এদের মনে একটাই ভয় কাজ করে। উপেক্ষিত হওয়াই এদের সবচেয়ে বড় ভয়। এদের সামনে এমন কিছু করবেন না বা এমন কোনও কথা বলবেন না, যাতে ওরা নিজেকে উপেক্ষিত মনে করে। এর ফলে তাদের আবেগ আহত হবে। এমন পরিস্থিতিতে এই রাশির বাচ্চারা প্রায়ই নিজেকে স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মনে করতে শুরু করে দেন।
কন্যা রাশি
সকলের বিশেষত মা-বাবার প্রত্যাশা পূরণ করতে না-পারা এই রাশির বাচ্চাদের মনের সবচেয়ে বড় ভয়। তবে এই রাশির বাচ্চারা বুদ্ধিমান হয়। যে কাজই করে না-কেন, তাতে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ যোগ্যতা ও প্রতিভা নিয়োজিত করে দেয় এরা। সকলের প্রত্যাশার মাপকাঠির শীর্ষে থাকাই এই রাশির জাতকদের উদ্দেশ্য। সবসময় সকলের প্রত্যাশা পূরণের জন্য দৌড়ঝাপ করতে থাকে। কোনও কারণে তা করতে না-পারলে দুঃখিত হয়ে পড়ে। এমনকি প্রত্যাশা পূরণ করতে না-পারার চিন্তাও এই জাতকদের আতঙ্কিত করে দেয়।
তুলা রাশি
তুলা রাশির বাচ্চারা নিজের মা-বাবা ও প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখতে ভালোবাসে। তাই এই রাশির বাচ্চারা নিজের জীবনে সর্বদা ভারসাম্য বজায় রাখার নিরাপদ পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টায় থাকে। এরা যত বড়ই হোক না-কেন, সর্বক্ষেত্রে নিজের জীবন সহজ করে তোলার পূর্ণ চেষ্টা করে তুলা জাতকরা। জ্যোতিষ মতে জীবনে অশান্তি বা কঠিন পরিস্থিতির সম্ভাবনাই এই রাশির বাচ্চাদের মনে ভয় জাগিয়ে তোলে।
বৃশ্চিক রাশি
লক্ষ্য নির্ধারিত জীবনযাপন করতে ভালোবাসে বৃশ্চিক রাশির বাচ্চারা। জীবনে কী পেতে চায় আবার তা পাওয়ার জন্য কী কী করতে হবে, সে সমস্ত বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাখে এরা। নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য উৎসাহের সঙ্গে কাজ করে যায়। তবে অনিশ্চয়তার চিন্তাভাবনাই এদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। জীবনে নিজের লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্খা পূর্ণ করতে সফল হবে কী না, সেই ভাবনাও এদের সন্ত্রস্ত করে তোলে।
ধনু রাশি
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এই রাশির জাতকরা। তাই একঘেয়েমির চিন্তামাত্রই এদের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি করে। বাচ্চা বয়স থেকেই নিজের জীবনে উৎসাহ ও রোমাঞ্চের খোঁজ করতে শুরু করে এরা। এক জায়গায় বসে থাকতে পারে না। এদের সবসময় কিছু না-কিছু করে যেতে দেখবেন। তাই বাড়িতে খালি বসে থাকা বা কিছু না-করার ভয়, এমনকি প্রতিদিন একই কাজ করার একঘেয়েমি এই জাতকদের ব্যাকুল করে তোলে।
মকর রাশি
অন্যান্য সমবয়সী বাচ্চাদের থেকে এক্কেবারেই বিপরীত এই রাশির বাচ্চারা। জ্যোতিষ মতে নিজের বন্ধুবান্ধবদের তুলনায় অধিক পরিপক্ক ও প্র্যাক্টিক্যাল এরা। এই রাশির বাচ্চারা জীবনে সাফল্য অর্জনের প্রবল প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। কোনও মতেই পরাজয় স্বীকার করতে চায় না। তাই জীবনে অসাফল্যকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় মকর রাশির বাচ্চা। কোনও কাজে অসাফল্য হাতে এলেই এই জাতকরা নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করে।
কুম্ভ রাশি
নিজের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলার চিন্তাভাবনাই এই রাশির বাচ্চাদের মন কুড়ে খেতে শুরু করে। প্রতিটি বাচ্চারই জীবনের কোনও কোনও ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও পথপ্রদর্শনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই রাশির বাচ্চাদের ওপর কেউ নজরদারি চালাক, তা এক্কেবারেই পছন্দ করে না এরা। নিজের পরিসরের মধ্যেই থাকতে ভালোবাসে। আবার জীবনে তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, তার জন্য় প্রশংসা প্রত্যাশা করে কুম্ভ রাশির বাচ্চারা।
মীন রাশি
জ্যোতিষ মতে মীন রাশির বাচ্চারা অত্যন্ত আদর্শবাদী হয়। এর পারফেকশানিস্ট। যে কাজ করবে, তাতে নিজের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা ব্যবহার করে এরা। পরিবর্তে নিজের জন্যও সর্বশ্রেষ্ঠ জিনিসের কামনা করে। সকলের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। তবে এই জাতকদের মনে নিজের প্রিয়জন বা কোনও কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয় সবসময় কাজ করে। তাই এই জাতকরা নিজের কাছের মানুষকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।
Post a Comment