তিন বাংলাদেশিকে সাহায্য, ধৃত দুই ভারতীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দুই ভারতীয় যুবকের সাহায্যে হাওড়ার বাঁকড়ায় ডেরা বেঁধেছিল তিন বাংলাদেশি যুবক। বৃহস্পতিবার ওই দুই ভারতীয় যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই দুই যুবকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ধৃত দু’জনকে এ দিন আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া।


পুলিশ জানিয়েছে, গত এক মাস ধরে বাঁকড়ার নয়াবাজ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ভুয়োপরিচয়পত্র নিয়ে থাকছিল তিন বাংলাদেশি। সে দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২২ ও ২৩ জুন মহম্মদ সুমন, মহম্মদ মনির ও রিপন হাওলাদার নামে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতীয় দুই যুবকের নাম জানা যায়। দিনের পর দিন জাল পরিচয়পত্র নিয়ে কী ভাবে ধৃত তিন বাংলাদেশি বাঁকড়ায় থাকছিল, আপাতত সেটাই তদন্তের মূল বিষয়।


তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এক মাস আগে রিপনের সাহায্যে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সুমন এবং মনির। এর পরেইডোমজুড় থানা এলাকা থেকে ধরা হয় রিপনকে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছিল জাল আধার কার্ড, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র এবং জাল পাসপোর্ট। রিপনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বছর দশেক আগে সে-ও ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। কয়েক বছর ছিল দিল্লিতে। সুমন ওমনিরকে ভারতে মোটা টাকা রোজগারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে এসেছিল রিপনই। ওই দু’জন বাংলাদেশে দৈনিক মজুরের কাজ করত। বিনিময়ে পেত পাঁচ হাজার টাকা। তার প্রায় ছ’গুণ টাকা রোজগারের টোপ দিয়ে সুমন ও মনিরকে ভারতে এনে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দেয় রিপন। এর পরে তিন জন বাঁকড়ার নয়াবাজে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়।


উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে বাঁকড়া এলাকা থেকেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এক জেএমবি সদস্য। তার সঙ্গে ধৃত এই তিন জনের যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.