কাশি কমে, বাড়ে ইমিউনিটি! শুধু দিনে এক চামচ মধু খান…


 

ODD বাংলা ডেস্ক: মধু হল এক অনন্য খাদ্য। এর স্বাদের মিষ্টত্ব যে কোনও মানুষের মন ভালো করে দিতে পারে। তাই খাঁটি মধুর এত চাহিদা বাজারে। তবে শুধু স্বাদ বললে ভুল হয়ে যাবে, এর মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য ভালো। তাই প্রতিটি মানুষের অবশ্য নিজের খাদ্য তালিকায় মধু রাখতেই হবে।


আসলে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যুগ যুগ ধরে মধুর (Honey) ব্যবহার হয়ে আসছে। এরমধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই আয়ুর্বেদে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে মধু। এবার দেখা গিয়েছে যে এই মধু আপনি নিয়মিত খেতে পারলে অনেক সমস্যা থেকেই অনায়াসে বাঁচা সম্ভব। এক্ষেত্রে মধুর মধ্যে রয়েছে পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াসল গুণ। এই দুই গুণের কারণেই মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।


আয়ুর্বেদ জানাচ্ছে যে মধু কাশি (Cough), সর্দির জন্য দারুণ উপকারী। এমনকী ত্বকের নানা সমস্যাও দূর করতে পারে মধু। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। এবার আসুন জানা যাক মধুর কিছু গুণাগুণ (Benefits of Eating Honey)-


Benefits of Eating Honey


ইমিউনিটি বাড়ায়

আসলে মধুর মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু শরীরের জন্য বেশ ভালো। এক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইমিউনিটি (Immunity) ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এমনকী এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ত্বকের ইনফেকশন থেকে আমাদের বাঁচায়।


কাশি দূর করে

কাশির (Cough) জন্য মধুর ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। আসলে মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা। এবার এই ক্ষমতার উপর ভর করে মধু পারে আপনার বহু সমস্যার সমাধান করে দিতে। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার কারণে কাশি হলে তাও দূর করতে পারে মধু। এমনকী দেখা গিয়েছে যে মধু কফ তরল করে শরীরে থেকে বের করে দিতে পারে।


ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে

আসলে অনেকেরই থাকে ড্রাই স্কিনের সমস্যা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগ বাস করে এই মানুষগুলির মধ্যে। এবার ত্বকের রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মধু খেতে হবে।


তবে মধু খেতে হবে খাঁটি। কারণ বাজারে এখন খারাপ রাসায়নিকে ভরা মধুতে ছেয়ে গিয়েছে। এবার এই ধরনের মধু খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। এছাড়া দিনে এক চামচ মধু খেলেই যথেষ্ঠ। আর পরামর্শের জন্য কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.