এক দেশে চাকরি, বসবাস আরেক দেশে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: চাকরি করছেন একদেশে। অথচ বসবাস অন্য দেশে। শুনতে অবাক মনে হলেও এটি এখন বাস্তব। সম্প্রতি এক ধরনের ভিসা দিচ্ছে কিছু দেশ। সেখানে কাজ না করলেও মিলবে থাকার অনুমতি। ডিজিটাল নোম্যাডস ভিসায় এক বছর অন্য দেশে থাকা যায়।


অনেকেই এক কালে ভাবতেন তাড়াতাড়ি অবসর নেবেন কর্মজীবন থেকে। টাকা জমিয়ে গোটা বিশ্ব ঘুরবেন। সে দিন গিয়েছে। কাজের মাঝেই অবসরের খোঁজ দিচ্ছে নতুন এক ধরনের ভিসা।


অতিমারির এই সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ এবং প্রবণতা বেড়েছে। এখন অনেককেই আর অফিস যেতে হয় না। যেখান থেকে ইচ্ছা কাজ করা যায়। তেমনই চাকরিজীবীদের জন্য নতুন এক ধরনের ভিসা দেয়ার চল বেড়েছে। এক দেশে চাকরি করে অন্য দেশে থাকার ভিসা পাওয়া যাচ্ছে দিব্যি।


এক সময়ে কাজ ছাড়া কোনও দেশে বেশি দিন থাকার ভিসা মিলত না। অতিমারি এসে যেমন অন্যান্য সব হিসাব বদলে দিয়েছে, তেমনই বদলেছে ভ্রমণের হিসাবও। এ বার ডিজিটাল নোম্যাডস ভিসা পেলে এক বছরের জন্য অন্য একটি দেশে বসে কাজ করতে পারবেন।


কোন কোন দেশে গিয়ে এমন সময় কাটাতে পারেন?


আইসল্যান্ড: এই দেশে কাজ খোঁজার অনুমতি মিলবে না। তবে ডিজিটাল নোম্যাডস ভিসা পেলে নিজের কাজ দিব্যি করা যাবে আইসল্যান্ডে বসে। অক্টোবর ২০২০ থেকে চালু হয়েছে এই ভিসা।


ইন্দোনেশিয়া: পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকা যাবে এই দেশে। কোনও কর দিতে হবে না। নিজের মতো কাজ করুন। সঙ্গে ওয়াইফাই রাখলেই হল। ভাবা যায়, বালিতে বসবাস!


জার্মানি: এই দেশে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন। পাকা চাকরি নয়। তবে দিন কয়েকের চাকরি নিতেই পারেন। এক বছর সে ভাবে কাটাতে পারবেন।


নরওয়ে: এখানকার ডিজিটাল নোম্যাডস ভিসার আবার কোনও সময়সীমা নেই। সারা জীবন থাকতে পারবেন নরওয়েতে। তবে রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে নিজের দায়িত্বে।


চেক রিপাবলিক: পাকা চাকরি যারা করেন, তাদের চেয়ে বেশি সুযোগ পাবেন ফ্রিলান্সাররা। এই ভিসাও মিলবে এক বছরের জন্য। তবে পাওয়ার জন্য একটি কথা স্পষ্ট বোঝাতে হবে। তিন মাসের কম যে কোনো মতেই থাকবেন না, তা বোঝাতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.