কেন হত্যা করা হল শিনজো আবেকে? পুলিশি জেরায় কবুল আততায়ীর

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রাকাশ্যে আনা হল শিনজো আবের আততায়ীর নাম। বক্তৃতা দেওয়ার সময় শিনজোকে (Shinzo Abe) লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিল টেটসুয়া ইয়ামাগানি। সে নারা শহরেরই বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে বন্দুকও। জানা গিয়েছে, শটগান এবং গুলি বাড়িতেই বানিয়েছিল সে। ৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বিস্ফোরক পদার্থও। জাপানের পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি শিনজো আবের উপর এই হামলার কারণও জানিয়েছে। কেন এভাবে হত্যা করা হয় জাপানের প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ককে?


জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে আততায়ী। হামলাকারীর বক্তব্য, শিনজো আবের (Shinzo Abe) উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ছিল সে। তার জন্যই শিনজোকে (Shinzo Abe) হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, "প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করার পর আততায়ী পালানোর চেষ্টা করেনি। বন্দুকটি নিজের কাছেই রেখেছিল। এরপর আবের নিরাপত্তারক্ষীরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে।" ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা গেছে আততায়ীর পরণে ছিল ধূসর রংয়ের টিশার্ট এবং বেইজ ট্রাউজার। ঘটনার পর নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে সে।


সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাপানের হান্টারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বলেছেন, আততায়ী হামলার জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছে, তা একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক। যদিও পুলিশ সেটি শটগান বলে চিহ্নিত করেছিল। আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে যে আওয়াজ শোনা গিয়েছিল তা শটগানের আওয়াজের সঙ্গে মেলে না। তাই পুলিশের দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।


জাপানের নারা শহরের রাজনৈতিক প্রচারে গিয়েছিলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Japan Former Prime Minister Shinzo Abe)। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ পশ্চিম জাপানের নারা শহরে বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সেই সময় আততায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে (Japan EX PM) লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। জাপান সংবাদমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গলায় গুলি লেগেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় শিনজোকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত (Cardiac Arrest) হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল।



প্রসঙ্গত, জাপানের সবথেকে দীর্ঘমেয়াদি এই প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ থেকে ২০০৭ এবং পরবর্তীকালে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.