বিবাহিত জীবনে সুখ না দুঃখ? জানিয়ে দেয় আপনার বিয়ের মাসই!
ODD বাংলা ডেস্ক: Married Life সুখে ও ভালোবালায় ভরে থাকুক, এমনটাই আমরা সবাই চাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য়জনক ভাবে সবার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। সাধারণত মনে করা হয় যে দু-জন মানুষের ভালো লাগা, পছন্দ-অপছন্দ, হবি - এই সব বিষয়ে মিল থাকলে তাঁদের মধ্যে মনের মিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে সব সময় যে তা সত্যি হয়, তা কিন্তু নয়। বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস থাকা সবচেয়ে জরুরি। অনেক সময় আমরা শুনতে পাই, কেউ কেউ অভিযোগ করেন যে বিয়ের পর তাঁদের জীবন আমূল বদলে গিয়েছে। বিয়ের পর প্রথম প্রথম জীবনসঙ্গীর যে সব অভ্যেস ভালো লাগত, কয়েক বছর পর সেগুলোই যেন বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
জ্য়োতিষ গণনা অনুযায়ী একটি বৈবাহিক সম্পর্ক কতটা সুখের হবে, তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। জ্যোতিষ জানাচ্ছে যে বিয়ের সময়টা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা আলোচনা করব বিবাহিত জীবনের উপর বিয়ের মাস অর্থাত্ কোন মাসে বিয়ে হয়েছে তা বিবাহিত জীবনের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করে।
জানুয়ারি
জানুয়ারি মাসে বিয়ে হলে তার উপর কুম্ভ রাশির প্রভাব থাকে। জ্যোতিষ গণনা অনুসারে জানুয়ারি মাসে বিয়ে হলে সেই দম্পতিরা সুখী বিবাহিত জীবন কাটান। এঁদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন কখনও আলগা হয় না। জানুয়ারি মাসে যাঁদের বিয়ে হয়, তাঁরা সঙ্গীকে নিত্য নতুন সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দিতে ভালোবাসেন। বিয়ের বহু বছর পরেও এঁদের মধ্যে প্রেম অটুট থাকে। জানুয়ারি মাসে যাঁদের বিয়ে হয়, তাঁদের মধ্যে ডিভোর্সের ঘটনা খুবই কম দেখা যায়।
অত্যন্ত আবেগপূর্ণ ভাবে এক অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকেন ফেব্রুয়ারি মাসের বিবাহিতরা। আপনার যদি ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়, তাহলে আপনাদের সম্পর্কের উপর মীন রাশির প্রভাব রয়েছে। এই মাসের বিবাহিত দম্পতিরা স্বার্থহীন ভাবে একে অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করেন। বৈবাহিক সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি নিজেদের দায়িত্বে এরা কোনওদিন এড়িয়ে যান না। ফেব্রুয়ারি মাসে যাঁদের বিয়ে, সেই স্বামী স্ত্রী-রা পরস্পরকে দেওয়া কথা যে কোনও মূল্যে রাখার চেষ্টা করেন। এঁরা একসঙ্গে প্রকৃত প্রেমের শক্তি উপলব্ধি করতে পারেন।
মার্চ
মার্চ মাসে যাঁদের বিয়ে হয়, তাঁদের উপর মেষ রাশির প্রভাব থাকে। এঁদের মধ্যে সম্পর্কে ওঠা-পড়া চলতে থাকে। মার্চ মাসের বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ ও বিকর্ষণ দুই-ই অনুভব করেন। আপনার মার্চ মাসে বিয়ে হলে অনেক সময় সঙ্গীর মানসিকতা সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেন না আপনি। কখনও আপনাদের মধ্যে মতের মিল হবে, আবার কখনও মতানৈক্য প্রবল আকার নেবে। খুব ছোট ছোট সাধারণ বিষয় নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি শুরু করে দেন মার্চ মাসের বিবাহিতরা। সম্পর্কে তু তু- ম্যায় ম্যায় চললেও এঁরা পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যান না সাধারণত।
এপ্রিল
এপ্রিল মাসে যাঁরা বিয়ে পিঁড়িতে বসেন, জ্যোতিষ অনুসারে তাঁদের সম্পর্কের উপর বৃষ রাশির প্রভাব থাকে। জ্যোতিষ অনুসারে এপ্রিল মাসটা বিয়ের জন্য দারুণ শুভ সময়। এই মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের বিবাহিত জীবনের পথে প্রেম ও রোম্যান্স ভরপুর থাকে। মানসিক ভাবে এই জুটি যেমন পরস্পরের কাছাকাছি থাকে, তেমনই শারীরিক ভাবেও এঁরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ। এপ্রিল মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের যৌন জীবনও ফাটাফাটি ভাবে কাটে।
মে
বছরের পঞ্চম মাস হল মে। এই মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের বিবাহিত সম্পর্কের উপর মিথুন রাশির প্রভাব থাকে। মিথুন রাশির মতোই এদের বিবাহিত সম্পর্কেও দুটি স্তর থাকে। মে মাসে যে বিয়েগুলি হয়, সেগুলি সফল হওয়ার যতটা সম্ভাবনা থাকে, পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও ঠিক ততটাই। মে মাসের বিবাহিতরা হয় সারা জীবন সুখে শান্তিতে থাকেন, আর নয়তো খুব খারাপ ভাবে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। মে মাসে শুরু হওয়া দাম্পত্য সম্পর্কে অনেক সময় একজনের মধ্যে প্রবল রাগ ও ধৈর্যের অভাব দেখা যায়।
জুন
জুন মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে কর্কট রাশির প্রভাব থাকে। এই জুটিরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নের প্রতিমূর্তি হন। কী ভাবে বিবাহিত সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তার একটা নিদর্শন তৈরি করেন জুন মাসের বিবাহিতরা। এরা পরস্পরের যত্ন নেন, একে অন্যের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন এবং নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মকেও কী ভাবে সুন্দর শিক্ষা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তা খুব ভালো করে জানুন জুন মাসের বিবাহিত দম্পতিরা।
জুলাই
আপনি কি জুলাই মাসে বিয়ে করেছেন? বা জুলাই মাসে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনার জন্য ভালো সংবাদ অপেক্ষা করছে। জুলাই মাসের বিবাহিত সম্পর্কে সিংহ রাশির প্রভাব থাকে। আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক যাতে দারুণ ভাবে এগিয়ে চলে, তা নিশ্চিত করতে আপনারা দুজনেই অত্যন্ত যত্নশীল। জুলাই মাসে যাঁদের বিয়ে হয়, তাঁদের মধ্যে প্রেমের অভাব হয় না কখনও। বিয়ের বহু বছর পরেও এরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। সারা জীবন সুখে কাটান এরা।
অগাস্ট
অগাস্ট মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের উপর কন্যা রাশির প্রভাব থাকে। এদের বিবাহিত সম্পর্কে নানা ধরনের সংকট আসতেই থাকে। তবে এরা তাতে হাল ছাড়েন না। বিবাহিত সম্পর্কে যে সমস্যাই আসুক না কেন, অগাস্ট মাসের বিবাহিতরা তা একসঙ্গে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। পরস্পরের কী প্রয়োজন এবং মনের ইচ্ছে, সেদিকে আরও একটু নজর দিলে অত্যন্ত মজবুত দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন অগাস্ট মাসের বিবাহিতরা।
সেপ্টেম্বর
সেপ্টেম্বর মাসে যাঁদের বিয়ে হয়, তাঁদের বিবাহিত সম্পর্কের উপর প্রভাব বিস্তার করে তুলা রাশি। সেপ্টেম্বরের বিবাহিতদের প্রায় Perfect Couple বলা যায়। সুখী জীবন কাটানোর রহস্য এরা জানেন। কী ভাবে পরস্পরের সঙ্গে সুখে শান্তিতে থাকা যায়, তা ভালো মতো জানা আছে সেপ্টেম্বরের বিবাহিতদের। সম্পর্কের ভারসাম্য কী ভাবে বজায় রাখতে হয়, তাও জানা আছে সেপ্টেম্বর মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের। পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-ঝাটি এরা করেন না বললেই চলে। সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এঁরা একসঙ্গে চেষ্টা করেন।
অক্টোবর
অক্টোবর মাসে যাঁরা বৈবাহিক জীবনে প্রবেশ করেন, তাঁদের দাম্পত্যের উপর প্রভাব থাকে বৃশ্চিক রাশির। এই জুটিদের যৌন জীবন ফাটাফাটি হয়। এরা পরস্পরের শারীরিক সান্নিধ্য দারুণ ভাবে উপভোগ করেন। অক্টোবরের বিবাহিতদের সম্পর্কের সব ওঠা-পড়া চাপা পড়ে যায় পরস্পরের প্রতি শারীরিক চাহিদার টানে। এরা সব সময় এক অন্যের সান্নিধ্য উপভোগ করেন। একে অন্যকে ছেড়ে এরা থাকতেই পারেন না। যৌন জীবন ভালো ভাবে উপভোগ করার জন্য একটু দেরি করেই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন অক্টোবর মাসের বিবাহিতরা।
নভেম্বর
নভেম্বর মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁদের সম্পর্কের উপর ধনু রাশির প্রভাব থাকে। খুব সুন্দর ভাবে, বিশেষ কোনও সমস্যা ছাড়াই এদের বিবাহিত জীবন তরতরিয়ে এগিয়ে যায়। এরা পরস্পরের আরাম ও খুশির কথা সব সময় খেয়াল রাখেন। নভেম্বর মাসে যাঁরা বিয়ে করেন, তাঁরা জীবনের সব বাধা বিপত্তির মোকাবিলা একসঙ্গে হাতে হাত রেখে করেন। পরস্পরের জীবনের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট এরা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সব সময়।
ডিসেম্বর
ডিসেম্বর মাসের বিবাহিতদের দাম্পত্য সম্পর্কে মকর রাশির প্রভাব থাকে। এঁরা সাধারণত ভবিষ্যতকে কী ভাবে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তা করেন। ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবতে গিয়ে বর্তমানকে অনেক সময় অবহেলা করেন ডিসেম্বর মাসের বিবাহিতরা। পরস্পরের প্রতি প্রেমের আকর্ষণের থেকে বৈষয়িক দেওয়া নেওয়ার দিকেই এদের বেশি নজর থাকে। ডিসেম্বর মাসের বিবাহিতরা দাম্পত্য সম্পর্ককে প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক বলেই বেশি মনে করেন। এদের বিবাহিত জীবন টাকা-পয়সা, পরিবার পরিকল্পনা ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই কেটে যায়। অনেক সময় ডিভোর্সও দেখা যায় এদের মধ্যে।
Post a Comment