দাঁত দিয়ে নখ কাটা শুধু বদঅভ্যাস নয় একাধিক রোগের কারণ, রইল রোগ থেকে মুক্তির উপায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস এক নয় রয়েছে বহু মানুষের। এই তালিকায় যেমন আছে শিশুরা তেমনই আছে যুবক ও মধ্যবয়সীরা। বিশেষজ্ঞের মতে দাঁত দিয়ে নখ কাটা শুধু বদঅভ্যেস নয় রোগের কারণও। এই রোগকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অনিকোফাগিয়া। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ বাড়লে এই দাঁথ দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বাড়ে। 


কখনও কোনও চিন্তায় পড়লে কিংবা অবসর সময় অজান্তেই হাত চলে যায় মুখে। নখের কোণায় দাঁতের কামড় দিয়ে থাকেন অনেকে। এই দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস এক নয় রয়েছে বহু মানুষের। এই তালিকায় যেমন আছে শিশুরা তেমনই আছে যুবক ও মধ্যবয়সীরা। বিশেষজ্ঞের মতে দাঁত দিয়ে নখ কাটা শুধু বদঅভ্যেস নয় রোগের কারণও। এই রোগকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ওনিকোফ্যাগিয়া। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ বাড়লে এই দাঁথ দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বাড়ে। 


এই রোগের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। মানসিক উত্তেজনা, একঘেঁয়েমি, মানসিক চাপের এমনকী ক্ষুধার কারণে ব্যক্তি দাঁত দিয়ে নখ কাটতে পারেন। বিশেষজ্ঞের মতে, এভাবে নখ কামড়ানোর ফলে স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। শরীরে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তেমনই নখের ত্বক নষ্ট হতে পারে। এবার থেকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন বিশেষ টোটকা।


নখের ভিতরে সকলেরই নোংরা বা জীবাণু জমে থাকে। দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে সেই জীবাণু পেটে প্রবেশ করে. এতে পেট ফোলা, পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই নখের চারপাশের চামড়া শক্ত হতে শুরু করে এই কারণে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তার সময় অনেকে এই কাজ করে থাকে। এতে দুশ্চিন্তা বা মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।   


এখন প্রশ্ন হল এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন কী করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে নখ কামড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাই রোদ খাদ্যতালিকায় রাখুন দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এতে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। রোজ দুধ, পনির কিংবা দইয়ের মতো খাবার খান। এতে শরীরও থাকবে সুস্থ। 


তেমনই মানসিক চাপ বা মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেলে বাড়ে নখ কামড়ানোর প্রবণতা। সেক্ষেত্রে রোজ মেডিটেশন করুন। নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। এতে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। মানসিক চাপ কম হলে এই অভ্যেসও পরিবর্তন হতে বাধ্য। 


এছাড়াওষ নখ বড় হতে দেবেন না। যাদের নখ কামড়ানোর অভ্যেস আছে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নখ সব সময় ট্রিম করে রাখুন। তাহলে সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তেমনই নখের ভিতরের অংশ সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। তা না হলে নখে থাকা নোংরা শরীরে প্রবেশ করবে। এতে বৃদ্ধি পাবে শারীরিক জটিলতা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.