আমের নাম ‘ঐশ্বরিয়া’, একেকটার ওজন এক কেজি

ODD বাংলা ডেস্ক: কেউ ফলের রাজা আম। শেষ পাতে হোক বা শুধু ফলাহারেই আমের জুরি মেলা ভার। সেই আমেরই রয়েছে ৩০০ টি প্রজাতি। কি জানতেন তা? তার আবার বিভিন্ন নাম রয়েছে। তার মধ্যে এক প্রজাতির আম রয়েছে যার নাম ঐশ্বরিয়া।   

হ্যাঁ, বানানো কিংবা নতুন কোনো ঘটনা নয় এটা। ১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়া রাই বিশ্বসুন্দরী খেতাব অর্জন করেন। তারপর উত্তরপ্রদেশের মালিহাবাদ এলাকার বাসিন্দা ৮২ বছর বয়সী কলিমউল্লাহ খান একটি আমের জাতের নাম রাখেন ঐশ্বরিয়া। সুস্বাদু ফলের তালিকায় অনেকের কাছেই আম শীর্ষে থাকবে। আর সেই আমের নাম যদি হয় ‘ঐশ্বরিয়া’, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক।

উত্তরপ্রদেশের মালিহাবাদ এলাকার বাসিন্দা কলিমউল্লাহ খান। ৮২ বছর বয়সী এই ব্যক্তির শতবর্ষী একটি আমগাছ রয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির নতুন আম উদ্ভাবন করেছেন তিনি। তারই একটি তিনি সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন। ঐশ্বরিয়া ১৯৯৪ সালে যখন মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতেন তারপরই নামকরণ করা হয়। কলিমউল্লাহ খানের দাবি, এই জাতের আমটিই তার ‘সেরা উদ্ভাবন’। তিনি বলেন, ‘ঐশ্বরিয়ার মতো এই আমটিও সুন্দর। একটির ওজন এক কেজির ওপর। বাহিরের আবরণ ক্রিমসন বর্ণের, খেতেও মিষ্টি।’

স্কুলে লেখাপড়া শুরু করলেও তা চালিয়ে যেতে পারেননি কলিমউল্লাহ খান। তরুণ বয়সেই কলম বা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের আম উদ্ভাবন করতে শুরু করেন। শুরুতে একটি গাছে সাত ধরনের আম উদ্ভাবন করেছিলেন। তবে গাছটি ঝড়ে উপড়ে যায়। এরপর ১৯৮৭ সালে শতবর্ষী একটি আমগাছ থেকে নমুনা নিয়ে আবার পরীক্ষা শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে তিনি ৩০০ প্রজাতির আম উদ্ভাবনে সফল হন।

কলিমউল্লাহ বলেন, ‘খালি চোখে এটি শুধুই একটি গাছ। তবে আমার কাছে এটি একটি গাছ, একটি বাগান ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমের সংগ্রহশালা।’বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া ছাড়াও অনেক তারকার নামে আমের প্রজাতির নামকরণ করেছেন কলিমউল্লাহ খান। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ‘গড অব ক্রিকেট’ শচীন টেন্ডুলকারও রয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.