মধু দিয়ে তৈরি মদ খেতে হত নবদম্পতিকে! পুরো ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন...
ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের আগেই বর কনে মিলে ঠিক করে তারা বিয়ের পর হানিমুনে কোথায় যাবে? বিয়ে মানেই যেন হানিমুনে যেতেই হবে! বিয়ের পর চেনা জগৎ থেকে দূরে কোথাও কয়েকটা দিন কাটানোর আনন্দই আলাদা। দুজন মানুষের যৌথ জীবন-যাপনের শুরুর কটা দিন কাটে রোমান্টিকতায়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন হানিমুন-এর ধারণাটি কোথা থেকে এলো।
শোনা যায় হানিমুনের উদ্ভাবক নাকি জার্মানরা। দ্য শর্টার অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুযায়ী এর অর্থ ছিল বিয়ের প্রথম মাস। তবে হানিমুনের বর্তমান অর্থ হচ্ছে, বিয়ের পরপরই অর্থ্যাৎ সংসার শুরু করা আগেই দম্পতির প্রথম ভ্রমণ।
আবার শোনা যায়, হানিমুন শব্দের উৎস ব্যাবিলন৷ প্রাচীন ব্যাবিলনে বিয়ের পরে মেয়ের বাবা জামাইকে তার চাহিদামতো মধু দিয়ে তৈরি মদ উপহার দিতেন। এই থেকেই কথাটি এসেছে ‘হানি’৷ ব্যাবিলনের ক্যালেন্ডার ছিল চান্দ্র। সেখান থেকে এসেছে মুন। শুরুতে নাকি ব্যাবিলনে বিয়ের পরের মাসকে হানি মান্থ বলা হত।
সেখান থেকে শব্দটি পরিবর্তিত হতে হতে শেষে হানিমুন হয়, যা প্রচলিত এবং জনপ্রিয় রীতি হিসেবেই গৃহীত। আবার অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিয়ের পরে টানা একমাস একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি মদ খেতে হত নবদম্পতিকে। মধু দিয়ে তৈরি মদ খাওয়ার প্রথা সেই হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে চালু ছিল, যার থেকেই এসেছে হানিমুন শব্দটি।
আবার অনেকে মনে করেন, ‘মুন’ শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে। যার সঙ্গে আবার যৌনতাও জড়িয়ে৷ এর সঙ্গে হানি বা মধু জুড়ে দেওয়া হয়েছিল এটা বোঝাতে যে, বিয়ের পর কিন্তু একইরকম সুখ নাও পাওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ হানিমুন কাপল যেখানে বিয়ের পর দুজনে কোথাও ঘুরতে যায়, সবসময় কিন্তু এমনটা ছিল না।
১৯শতকে ব্রিটেনে কাপল-রা বিয়ের পর ব্রাইডাল ট্যুরে যেতেন। এই ট্যুরে নবদম্পতিরা সেইসব আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়ি যেতেন, যারা তাদের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
Post a Comment