এই ৩টি ঘটনার যে কোনও একটি ঘটলেই তা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ, জানায় চাণক্য নীতি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: চাণক্য নীতিতেও এই ধরনের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যার যে কোনও একটির ঘটনা একজন ব্যক্তির ভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কোন ঘটনা যা মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে। 

 

চাণক্য নীতিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি দিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বলা হয়েছে। চাণক্য নীতি কীভাবে জীবনকে সুখী করতে হয় তাও বলে এবং কীভাবে দুঃখ মোকাবেলা করতে হয় তাও বলে। জীবনে সুখ-দুঃখ দুটোই জড়িত, এমন পরিস্থিতিতে চাণক্য নীতির এই বিষয়গুলো খুবই কাজে লাগে। চাণক্য নীতিতেও এই ধরনের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যার যে কোনও একটির ঘটনা একজন ব্যক্তির ভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কোন ঘটনা যা মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে। 


এসব ঘটনা অনেক দুঃখের সৃষ্টি করে 

আচার্য চাণক্য তার নীতিশাস্ত্র চাণক্য নীতিতে এমন পরিস্থিতির কথা বলেছেন, যা জীবনকে দুঃখে পূর্ণ করে। 


বৃদ্ধ বয়সে জীবনসঙ্গীর হারানো:


স্বামী-স্ত্রীকে জীবনসঙ্গী বলা হয় কারণ এটিই একমাত্র সম্পর্ক যা সারাজীবন স্থায়ী হয়। কিন্তু জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন মারা যায় বা অন্য কোনও কারণে তাদের ছেড়ে চলে যায়, তখন তাদের বাকি জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনসঙ্গী ছাড়া বার্ধক্যে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। এমন পরিস্থিতি একটি ভাল জীবনকেও দুঃখ-কষ্টে ভরিয়ে দেয়। 


আপনার টাকা ভুল হাতে পৌঁছানো:


সুখী জীবনের জন্য টাকা থাকা খুবই জরুরি, কিন্তু কষ্টার্জিত টাকা যখন আপনার হাত থেকে বেরিয়ে ভুল হাতে পৌঁছে যায়, তখন জীবনে এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। কারণ একদিকে ব্যক্তি তার অর্থও হারায় এবং তার অর্থ যদি ভুল ব্যক্তি বা শত্রুর কাছে পৌঁছায় তবে সে তার অর্থ তার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে। 


অন্যের বাড়িতে বসবাস:


কোনও কারণে যদি অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়, তাহলে তা বড়ই দুর্ভাগ্যের বিষয়। অন্যের গৃহে বসবাস করলে একজন ব্যক্তি কেবল অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে না, তাকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হয়। এমন পরিস্থিতি ব্যক্তির আত্মসম্মানও নষ্ট করে। তাই সবসময় অন্যের বাড়িতে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.