বিশ্বের কোন শহরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা মাথায় রেখে পুরো পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার একমাত্র চাবিকাঠি মনে করছে ‘সবুজ অর্থনীতি’।  ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই হয়েছিল৷ ঐ চুক্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে বাড়তে না পারে, তার দিকে নজর রাখা হবে৷ সেই লক্ষ্যে নিজেদের করণীয় ঠিক করেছে বড় বড় শহরগুলো।

প্যারিস


পায়ে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর উপযোগী শহর তৈরি করে লক্ষ্যপূরণ করতে চায় প্যারিস। এতে কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে। বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা যদি ১৫ মিনিটেই পাওয়া যায়, তাহলে তো গাড়ির প্রয়োজন কেন? প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো চান, ২০২৪ সালের মধ্যে শহরের প্রতিটি রাস্তায় সাইকেল লেন থাকুক। এতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষতার লক্ষ্যপূরণ করা যাবে৷ এটাই হলো ১৫ মিনিটের শহরের পরিকল্পনা।


কোপেনহেগেন


কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অন্যতম উৎস বিদ্যুৎ এবং তাপ। কোপেনহেগেন প্রশাসন কয়লা, তেল এবং গ্যাসকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে৷ আবাসনগুলোতে তৈরি হওয়া, উৎপাদনের ফলে তৈরি হওয়া ব্যাপক বর্জ্য কমাতে ‘স্মার্ট এনার্জি গ্রিড’ স্থাপন করেছে তারা। 


ফ্রাইবুর্গ


জার্মানির ফওবান জেলার সবুজ শহর ফ্রাইবুর্গে ‘মডেল ইকো নেবারহুড’ তৈরি হয়েছে। এই শহর  ‘জিরো এমিশন’ শহর। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ নির্গমন কমাতে বদ্ধপরিকর স্থানীয় মানুষ এবং শহরের পৌরপ্রশাসন৷ ফ্রাইবুর্গ শহরের পাঁচ হাজার ৬০০ জন বাসিন্দাদের কেউ গাড়ি ব্যবহার করেন না৷ রাস্তাগুলো সাইকেল এবং পথচারী-বান্ধব৷ ছাদে সৌরশক্তিসহ উজ্জ্বল রঙের ‘পাসিভহউস’ ভবন আছে যা বায়োগ্যাসচালিত শক্তি কারখানা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.