দ্রুত গর্ভধারণ করতে নিয়মিত যোগা করুন, এই কয়টি আসন মুক্তি দিতে পারে কঠিন সমস্যা থেকে

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  সন্তানের জন্ম দেওয়া একজন মেয়ের জীবনে এক সুন্দর মুহূর্ত। গর্ভধারণের পর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। এই সময় কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয় সকলকে। এই দীর্ঘ সময় নানান শারীরিক জটিলতা ও নানান শারীরিক কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্ম দিতে হয় একজন মাকে। এই সময় খাদ্যাতালিকা থেকে জীবনযাত্রা বদল করতে হয় সব কিছু। কিন্তু, বর্তমানে বহু মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নানান সমস্যায় ভুগছেন। বন্ধ্যাত্ব দেখা দিচ্ছে অনেকের। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যোগা করুন। আজ রইল কয়টি যোগাসনের হদিশ। নিয়মিত এই কয়টি যোগা করুন। এতে মিলবে উপকার। দূর হবে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা।    


সূর্যপ্রণাম বা সূর্য নমস্কার করতে পারেন। প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার পিছনের দিকে ঝুঁকে আপনার পিঠ টান টান করুন। এবার শরীর টানটান রেখে সামনে ঝুঁকে পায়ের আঙুর স্পর্শ করুন। মাথা হাঁটুতে স্পর্শ করান। এভাবে হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন। তারপর হাত মাটিতে স্পর্শ করুন। এই অবস্থায় হাতে ভর দিয়ে ডান পা পিছনের দিকে সোজা করে দিন। 


এবার হাঁটু থেকে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকান। বাঁ পা পেছনে সোজা করে দিন। এবার ডান পা পিছনে ছড়িয়ে নিন। শরীর টানটান রাখুন। মাথা সামনের দিকে রেখে হাত মাটিতে স্পর্শ করে থাকুন। প্ল্যাঙ্কে করার ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। এভাবে প্রতিদিন সকালে সূর্য প্রণাম করতে পারেন।



করতে পারেন নৌকাসন। প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দু পা জোড়া করুন। এবার দু হাত উরুর ওপর রাখুন। তারপর দুই হাত, পা ও মাথা একই সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি উপরে তুলুন। তবে, খেয়াল রাখবেন মাথা পায়ের আঙুল যেন একই সমান্তরালে থাকে। এভাবে ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। 


করতে পারেন হস্তপদ্মাসন। খুবই সহজ এই আসন। এতে দ্রুত উপকার মিলবে। প্রথমে সোজা হয়ে টানটান করে দাঁড়ান। এবার হাত ওপরের দিকে প্রসারিত করুন। এই ভাবে টানটান থেকে ধীরে ধীরে সামনের দিতে ঝুঁকতে থাকুন। এভাবে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। এই সময় ভুলেও হাঁটু ভাঙবেন না। ১০ তেকে ২০ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। দিনে ৩ থেকে ৫ বার করে এই আসন করতে পারেন। 


করতে পারেন দণ্ডাসন। প্রথমে মাটিতে বসুন। এবার পা প্রসারিত করুন সামনের দিকে। পায়ের আঙুল সোজা রাখুন। এবার মাটিতে আপনার নিতম্বের পাশে আপনার হাতের তালু রাখুন। মেরুদন্ড সোজা রাখুন। এভারে কমপক্ষে ১ মিনিট থাকুন। আসনটি ৩ থেকে ৫ বার করুন। মিলবে উপকার। প্রতিদিন এই আসন করতে পারেন। 


করতে পারেন পশ্চিমোত্তাসন। এটি ডিম্বাশন ও পেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর জন্য উপকারী। প্রথমে মাটিতে বসুন। এবার পা প্রসারিত করুন সামনের দিকে। পায়ের আঙুল সোজা রাখুন। এবার হাত ওপরের দিকে তুলুন। টান টান করুন পিঠ। এই ভাবে আস্তে আস্তে ঝুঁকে পা স্পর্শ করুন। কমপক্ষে ১ মিনিট থাকুন। আসনটি ৩ থেকে ৫ বার করুন। মিলবে উপকার। প্রতিদিন এই আসন করতে পারেন।


করতে পারেন ভুজঙ্গাসন। প্রথমে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালু মাটিতে স্পর্শ করুন। মুখ সোজা করে সামনের দিকে তাকান। এভাবে শরীরের সামনের দিকের অংশ ওপর দিকে তুলুন। যতটা পারবেন পেট পর্যন্ত অংশ তুলতে থাকুন। এই সময় হাতে ভর দিতে পারেন। সাপের মতো দেখতে হয় এই ভঙ্গি। এভাবে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। 



সেতুবন্ধাসন করতে পারেন। এটিও খুবই উপকারী। প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের চেটো মাটিতে স্পর্শ করুন। শরীর টানটান রাকুন। পা ভাঁজ করে পিঠের দিকে আনুন। এভাবে কোমড়ের অংশ ওপরের দিকে তুলুন। পিঠ থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ তুলুন। এভাবে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। 


এর সঙ্গে জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন। রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিয়মিত করে চলুন। এই সময় সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খান। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়ামের মতো একাধিক উপাদান আছে এমন খাবার রাখুন তালিকাতে। এই সময় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের গুণে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 


তেমনই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে আদা খেলে। আদাতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো শরীর সুস্থ রাখে। গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বাচ্চার নানান ক্ষতি হয়। তবে এই সময় একাধিক মশলা এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই তালিকায় আছে হিং ও মেথির মতো উপাদান। তাই চিকিৎসকের পরমার্শ মেনে খাবার খান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.