স্বামীকে ফিরে না পেয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূর আত্মহত্যা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।


এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


রুপনা দাস জোরারগঞ্জ দক্ষিণ ধুম এলাকার স্বামী রুপম কুমার দে প্রকাশ সম্রাটের স্ত্রী।


এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ নিহত রুপনা দাসের স্বামীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।


আটককৃতরা হলেন-  স্বামী রুপম কুমার দে (৩৬), শ্বশুর রাখাল চন্দ্র দে (৬৯), শাশুড়ি বেলা রানী দে (৫৮), ভাসুর কাঞ্চন কুমার দে (৩৮) এবং জা উর্মি রানী দে (৩০)।


পুলিশ জানায়, রুপনা দাস গত তিন বছর আগে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে রুপম কুমার দে’কে বিয়ে করেন। কিন্তু রুপমের পরিবার ওই বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তারা মীরসরাই বারৈয়ারহাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এ সংসারে তাদের একটি দুই বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে গত কিছুদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে পারিবারিক জটিলতার সৃষ্টি হলে স্বামী রুপম অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী রুপনা দাসকে ফেলে রেখে চলে যান।


সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রুপনা দাস তার মেয়েকে নিয়ে রুপমদের বাড়িতে ফিরে যান। বাড়িতে রুপম না থাকলেও তার বড় ভাই এবং বৌদি রুপনা দাসকে চলে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুপনা দাস তার ব্যাগে থাকা কেরোসিনের বোতল নিজের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।


তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে রুপনা দাসের গায়ের আগুন নিভিয়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।


জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূর হোসেন মামুন জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ রুপনাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে ওই গৃহবধূর মঙ্গলবার সকালে মারা যান।


এ ঘটনায় নিহত রুপনা দাসের বোন বিউটি রানী দাস বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


এরপর পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। টানা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকেই পুলিশ আটক করেছে। আটক পাঁচজনকে মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.