এই ৫ খাবার আপনার বাচ্চার দাঁতের ঘোর শত্রু, তাই ভুলেও নয়!



 ODD বাংলা ডেস্ক: বড়দের মতো ছোটদেরও দাঁতের যত্ন নেওয়া দরকার। তা না হলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম ক্যাভিটি। এ ছাড়াও দাঁতে প্লেক, দাঁতে যন্ত্রণা, ভাঙা দাঁত, ছোপ পড়া দাঁতের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁতের সঙ্গে মাড়ির যত্নও নেওয়াটাও খুব জরুরি।


বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁতের যত্নের দু-বার ব্রাশ করা জরুরি, তেমনই খাবারের উপর নজর দেওয়াটা দরকার। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি শিশুর দাঁতের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী


​​মিষ্টি বা ক্যান্ডি

নানা রকমের লজেন্স, ক্যান্ডি বাচ্চারা খুবই ভালোবাসে বটে, কিন্তু এই ধরনের খাবার কিন্তু দাঁতের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে । বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্ডি চ্যাটচ্যাটে ধরনের মিষ্টি যা খাবার পর দাঁতে লেগে থাকে। আর তার থেকেই ব্যাক্টিরিয়া জন্মায় দাঁতে। এ ছাড়া এই খাবার দাঁতের এনামেল একেবারেই নষ্ট করে দিতে পারে। আপনার খুদেটি যদি খুবই বায়না করে, তাহলে মাঝে-মধ্যে দিন।


​টক ফল

টক ফলে অ্যাসিডের উপস্থিতি এতটাই বেশি যে তা আপনার সন্তানের দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর। মুসাম্বি, কমলার মতো যে কোনও সাইট্রাস ফলের রসও বাচ্চার দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ফল আপনার বাচ্চাকে খুব বেশি খাওয়াবেন না। খাওয়ার পরেই মুখ ধুয়ে যেন ফেলে।


পপকর্ন

ভুট্টার থেকে তৈরি পপকর্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবেই পরিচিত। আপনার খুদের দাঁত একেবারে খারাপ করে দিতে পারে এই খাবার। কারণ, পপকর্ন খাওয়ার সময় তা দাঁতে আটকে যেতে পারে, এর ফলে মাড়িতে সংক্রমণ হতে পারে। পপকর্ন খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করাই শ্রেয়।


ড্রিংকস

বাচ্চাদের দাঁতের যত্ন নেওয়া বেশি দরকার। কার্বোনেটেড পানীয় যে কোনও দাঁতের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। কার্বোনেটেড পানীয় বাচ্চারা পান করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। এর ফলে দাঁত বেশি করে ভঙুর হয়ে পড়ে। তাই কার্বোনেটেড পানীয় যদি বাচ্চা কোনও দিন পান করে তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পরেই মুখ ধুয়ে দিন।


​পটেটো চিপস

পটেটো চিপস বা অন্যান্য ক্র্যাকারের মধ্যে স্টার্চ থাকে যা পরে সুগারে পরিণত হয়। এ ছাড়া এই খাবার সময় দাঁতের ফাঁকে আটকে যেতে পারে। আপনার সন্তান চিপস খেলে তাকে দিয়ে ব্রাশ করিয়ে নেবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.