মন খারাপের খারাপ প্রভাব পড়ছে দাঁতে, মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে দাঁতের সমস্যা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মানসিক চাপ ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগের একাধিক রোগ। জানেন কি দাঁতের রোগের কারণও হতে পারে মানসিক চাপ। বর্তমানে বহু মানুষ দাঁতের ক্ষয়, ক্যাবেটিস, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন। এই সব রোগের প্রধান কারণ হল মানসিক চাপ। জেনে নিন কীভাবে মানসিক চাপের প্রভাবে দাঁতের ক্ষয় হচ্ছে। 


অল্প বয়স থেকেই শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক রোগ। এই তালিকায় গ্যাসের সমস্যা, পেটের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ থেকে প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের শরীরে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপ। অফিসের কাজের চাপ, লোনের বোঝা কিংবা বাচ্চার পড়ার খরচ, সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি- নানা কারণ অনেকেই মানসিক চাপ দেখা দেয়। আর এই মানসিক চাপ ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগের একাধিক রোগ। জানেন কি দাঁতের রোগের কারণও হতে পারে মানসিক চাপ। বর্তমানে বহু মানুষ দাঁতের ক্ষয়, ক্যাবেটিস, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন। এই সব রোগের প্রধান কারণ হল মানসিক চাপ। জেনে নিন কীভাবে মানসিক চাপের প্রভাবে দাঁতের ক্ষয় হচ্ছে। 


গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুশ্চিন্তা বাড়লে ব্যক্তির চকোলেট ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। এতে দাঁতের ক্ষতি হচ্ছে। চকোলেট ও মিষ্টি জাতীয় খাবার দাঁতের ক্ষতি করে থাকে। 


অবসাদের কারণে মাড়ি ফুলে যাওয়া। এমনকী, মুখের ভিতরে ঘা হয় মানসিক অবসাদ থেকে। তাই মানসিক চাপ অনুভূত হলে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই থাকবে সুস্থ। 


মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে বহু মানুষ অ্যান্টি ডিপ্রেশনের ওষুধ খান। জানেন কি এই ধরনের ওষুধ থেকে মাড়িতে খারাপ প্রভাব ফেলে। মুখ গহ্বরে ঘা-এর কারণ হল এই ধরনে ওষুধ। তাই নিজের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। ওষুধ যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। 


মানসিক অবসাদের কারণে বহু মানুষ মদ্যপান ও ধুমপানের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়েন। বেড়ে যায় ধূমপানের নেশা। তেমনই মদ্যপান করেন নিয়মিত। জানেন কি লিভার ও ফুসফুসে সঙ্গে মদ্যপান ও ধুমপান কারণে দাঁতের ক্ষতি হয়। এতে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে। তাই সুস্থ থাকতে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। 


দাঁতের যত্ন নিতে, প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করতে ভুলবেন না। দুটি দাঁতের মাঝে খাবার আটকে থাকলে তা দূর করতে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। তেমনই ত্যাগ করুন কোমন পানীয়। এতে থাকে চিনি দাঁতের প্রচুর ক্ষতি করে। তাছাড়া প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর দাঁতের পরীক্ষা করাবেন। প্রয়োজনে দাঁতের স্কেলিং করুন। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চললে দাঁতের ক্ষয় কম হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.