মানুষ একসঙ্গে মলত্যাগ করতেন, প্রাচীনকালের এইরকম কিছু আশ্চর্যজনক ঘটনা যা দেখলে অবাক হবেন…
ODD বাংলা ডেস্ক: আমারা সকলেই ঠাকুমা-দিদিমার কাছে অনেক গল্প শুনেছি। যখনই আমরা তাদের সময়কার গল্প শুনি, তখন মনে হয় এখনকার থেকে ওনাদের সময়ের অনেক পার্থক্য আছে। তারপর যদি আমরা আরোও পুরনো যুগের কথা, ঠাকুমা-দিদিমার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে বলি তো, তখন তাদের পৃথিবী ছিল খুব আলাদা। আমরা বর্তমানে বিভিন্ন বই থেতে সেই সময়কার নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি।
বর্তমানে আমরা যে সমস্ত কাজ করি সেগুলো প্রাচীনকালেও করা হতো, কিন্তু তাদের করার পদ্ধতি আলাদা ছিল। সেই সময়ে এমন অনেক প্রথা ছিল যেগুলো শুনলে আপনার গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যাবে। প্রাচীনকালের মানুষেরা সুন্দর চেহারা বানানো এবং রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক উপায় গ্রহণ করত। আজ আমরা এই বিষয়ে কথা বলবো। মন দিয়ে পড়ুন ব্যাপারটা একটু মজাদার।
১। বৌ বিক্রি – মধ্যযুগীয় সময়ে মহিলাদের উপর তাদের স্বামীর পূর্ণ অধিকার ছিল। সম্পত্তিতে মহিলাদের কোন অধিকার ছিলনা, বরং তারা তাদের স্বামীর সম্পত্তি হয়ে যেতেন। ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের বিক্রি করতে পারত।
২। চুলকে রং করা – আজও চুল রং করা এটি খুবই সাধারণ কাজ। কিন্তু প্রাচীনকালে, রোম এবং গ্রিসে সালফারের মত বিপজ্জনক রাসায়নিক দিয়ে চুল রং করা হত।
৩। স্তনের চিকিৎসা – সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য প্রাচীনকাল থেকেই ব্যাপকভাবে এই কাজ করা হয়। সেই সময়, মানুষ একটি নিখুঁত ব্যক্তিত্বের জন্য বিভিন্ন ধরণের উপায় ব্যবহার করত। ১৮৯৫ সালে Vincenz Czerny নামক একটি ডাক্তারের দ্বারা প্রথম স্তনে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
৪। প্রাচীন পাবলিক শৌচালয় – প্রাচীন রোমে পাবলিক টয়লেট খুবই সাধারণ ছিল এবং লোকেরা তা নিয়ে বেশ আরামদায়কও ছিল। বাথরুমে যাওয়া মানুষের জন্য এটি সামাজিক অভিজ্ঞতা হিসেবে ব্যবহৃত হত। একসাথে বসতে হতোঃ গ্রামেও যদি সকলে বনে যান, লুকিয়ে লুকিয়ে মলত্যাগ করেন। কিন্তু এইরকম একে অপরের সামনে বসে মলত্যাগ করা খুবই অদ্ভুত ছিল। সেই সময় শুধুমাত্র ধনীরাই ব্যক্তিগত বাথরুম নির্মাণ করতে পারত।
৫। বেড়ালদের জন্য আইব্রো কেটে ফেলা – প্রাচীন মিশরে বিড়ালদের পূজা করা হতো। ‘মিশরীয় দেবতা বাস্টেট’, তাকে প্রজনন দেবী বলে মনে করা হত। তাকে একটি বিড়াল হিসাবেও দেখানো হয়েছে। যখন কোন বিড়ালের মৃত্যু ঘটতো, তখন মানুষেরা শোক প্রকাশ করার জন্য তাদের একটি ভুরু কেটে ফেলত। এছাড়াও বিড়াল হত্যা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল।
৬। মানসিক রোগের চিকিৎসা – এটা আমরা সবাই জানি যে অতীতে কুসংস্কার খুব বেশি ছিল। যখন কেউ মানসিক দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তো তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হত। যাতে তার মাথা থেকে মন্দ আত্মাদের সরানো যায়।
৭। মেয়ের হত্যা – রোমান সভ্যতায় মহিলারা বিয়ের পরে সম্পর্ক বানাতে পারত না। এমনকি বিয়ের পরেও সে পিতার পরিবার দ্বারা আবদ্ধ থাকত। পিতা তার প্রয়োজনে তার মেয়েকে হত্যাও করতে পারত। বাবা যদি মনে করতেন যে তার মেয়ের প্রেমিক এমন কিছু জিনিস করেছে, যার ফলে তার নাম খারাপ হতে পারে, তাহলে তিনি তাকে আইনগত ভাবে হত্যা করতে পারতেন।
৮। অপারেশনের সাহায্য – “মন্দ আত্মাকে” বের করার জন্য মারাত্মক অস্ত্রোপচারের ব্যবহার করা হত। এই প্রক্রিয়ায় মাথায় ড্রিল করে আত্মাকে অপসারণ করা হত।
৯। ইঞ্জেকশন – ডাক্তাররা নারীদের স্তনের মধ্যে পারফিনের ইনজেকশন লাগাতেন। এর প্রভাব কিছু সময়ের জন্য দৃশ্যমান থাকত এবং পরে এই মহিলাদের স্তন শক্ত হয়ে যেত। এর সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেশী ছিল।
১০। কালো দাঁত – বিশেষ করে জাপানে এই অনুশীলনটি অনুসরণ করা হতো। মানুষ (বিশেষতঃ নারী) নিজের দাঁতে কালো রং করত। এই অনুশীলন সৌন্দর্যের একটি প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হত।
১১। পশুদের মল ঔষধ – প্রাচীনকালে পশুদের মল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কুমিরের মলকে গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হত এবং ভেঁড়ার লিন্ডির ব্যবহার ছোট পক্সের জন্য করা হত। শুধু তাই নয়, কিছু সংস্কৃতিতে মলকে ঘা নিরাময়ের জন্যও ব্যবহৃত করা হত। সেই সময় শুকরের মল নাকের রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হত।
Post a Comment