ধর্ষকদের যেসব ভয়ংকর শাস্তি দেয় এই আট দেশ!

ODD বাংলা ডেস্ক: সমগ্র বিশ্বে ধর্ষণ খুবই পরিচিত একটি শব্দ। যা শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সবার জন্যই একটি আতংকের নাম। খুবই নৃশংস আর অভিনব কায়দায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করার ঘটনা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। যা আমাদের হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়।

প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সমাজ, এমনকি প্রতিটি ব্যবস্থায় ধর্ষণকে সব থেকে বড় এবং ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশসহ প্রায় সারা বিশ্বেই বেড়ে চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই, শতকরা ৩৩ জন নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। পুরুষরাও এই ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায় না। তবে এমন পরিস্থিতি সামলাতে বসে নেই দেশের সরকারও। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধানও সেভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে ধর্ষণের শাস্তি মারাত্মক। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই দেশগুলোর ধর্ষণের কঠোর শাস্তি সম্পর্কে-

নরওয়ে

এই দেশটিতে সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে বলে গণ্য করা হয়। তাই নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।

মিসর

এই দেশে এখনো অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা রয়েছে। তেমনই ধর্ষণের শাস্তি হচ্ছে ফাঁসি।

ইরান

ইরানে ধর্ষণের শাস্তি খুবই ভয়ানক। এই দেশটিতে ধর্ষককে হয় ফাঁসি, না হয় গুলি করে মারা হয়। এভাবেই ধর্ষককে শাস্তির বিধান রয়েছে এই দেশটিতে। কারণ তারা মনে করে, দোষী ধর্ষিতা নন, ধর্ষকই এই জঘন্য কাজের আসল দোষী।

উত্তর কোরিয়া

এই দেশটিতে ধর্ষণের সাজা শুধুই মৃত্যুদণ্ড। অভিযোগের পর আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর অভিযোগ প্রমাণ হলে গুলি করে হত্যা করা হয় ধর্ষককে।

আফগানিস্থান

সারা বিশ্বে মধ্যে আফগানিস্থানে ধর্ষণের হার অত্যন্ত কম। তবে সেখানে ধর্ষণ করে কেউ ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই। সোজা ধর্ষকের মাথায় গুলি করে মারা হয়।

চীন

চীন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। এই দেশটিতে ধর্ষণের সাজা শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডই। ধর্ষণ প্রমাণ হলেই আর কোন সাজা নয়, সরাসরি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর তা কার্যকর করা হয় অত্যন্ত দ্রুত।

ফ্রান্স

ইউরোপের এই দেশটিতে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ধর্ষকের সাজা ঠিক করা হয়। সঙ্গে করা হয় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। ধরা পড়ার পর এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে অপরাধ গুরুতর হলে তা বেড়ে হতে পারে ৩০ বছরও।

সৌদি আরব

এখানেও ধর্ষণের সাজা ভয়ংকর। আর তাই এখানেও ধর্ষণের সংখ্যা অনেকটাই কম। এখানে ধর্ষককে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে মারা হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.