তুলি নয় গোপনাঙ্গ দিয়েই ছবি আঁকেন তারা

ODD বাংলা ডেস্ক: তার জীবনযাপন নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে! তিনি জনপ্রিয় একজন চিত্রশিল্পী। সাধারণত ছবি আঁকাতে ব্যবহার করা হয় পেন্সিল, চারকোল কখনো বা প্রয়োজন রং তুলির। 
জানলে অবাক হবেন, এই চিত্রশিল্পী ছবি আঁকাতে তুলির নয় বরং পুরুষাঙ্গের আঁচড় টানেন। তার নাম টিম প্যাচ। শুধু তিনিই নন তার মতো আরো অনেকেই রয়েছেন যারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাহায্যে ছবি আঁকেন।

টিম প্যাচ নাটকীয়তা

ছবি আঁকতে টিম তার পুরুষাঙ্গ এবং অণ্ডকোষ রঙের মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন। এরপর সেটা দিয়েই তিনি যেকোনো ছবি আঁকেন। টিম প্রথমে তার ক্যানভাসটি রং দিয়ে ঢেকে ফেলেন। এরপর তার ওপর প্রয়োজন মতো অন্যান্য রং দিয়ে চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তোলেন। তিনি তার পুরুষাঙ্গকে মূলত ব্রাশের ন্যয় ব্যবহার করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার এ শিল্পী নিজেকে ‘প্রিকাসো’ বলেও পরিচয় দেন। তবে টিমের এ ধরনের কাজ যেমন মানুষের মাঝে বিস্ময় ছড়িয়েছে, তেমন তাকে সমালোচনাও কম পড়তে হয়নি। 

১৯৬০ সালে লন্ডনের ফর্মাল আর্ট স্কুলগুলোতে আবেদনের সময় তিনি প্রতিটি স্কুল থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। এরপর অবশ্য টিম আসবাবপত্রের নকশা আঁকতে শুরু করেন। তবেতার পুরুষাঙ্গ দিয়ে ছবি আঁকার বাসনা মনে রয়েই গিয়েছিল। এমনকি টিম একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, যে ছোটবেলা থেকেই তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে ছবি আঁকার কথা মাথায় আসে। সে সময়কার বিভিন্ন আর্ট বই এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনগুলো দেখে তার মাথায় এ ব্যাপারটি আসে। তবে ছোটবেলায় খুব লাজুক ছিলেন টিম। যে কারণে তার প্রতিভা বিকশিত হতে দেরি হয়েছে। 

টিম একজন সমকামী পুরুষ হওয়ায় তার বারবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তবে তার আঁকা ছবি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপরে অনেক দেশে প্রদর্শনী হয়েছে। টিম ১২ বছর ধরে এভাবেই ছবি আঁকছেন। এছাড়াও টিম প্যাচ চীনে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক শোতে নগ্ন অভিনয় করেছেন। টিম একেকটি চিত্র কর্ম আঁকতে ১৫ মিনিটের বেশি সময় নেন না। কারণ এর শক্ত ভারসম্য থাকা অবস্থায় তাকে ছবি আঁকা ছবি শেষ করতে হয়। 

তবে বয়স বাড়ার কারণ তার ছবি আঁকার সময় কমে আসছে। এজন্য অবশ্য তাকে ছবি আঁকার আগে ওষুধ খেয়ে নিতে হয়। তিনি তার ছবি আঁকার এ বিশেষ ব্রাশের অনেক যত্ন নেন। টিম নিজেকে সুস্থ রাখতে দিনে ১৩ ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমানোর আগে তার পুরুষাঙ্গটি তিনি ফয়েল পেপারে মুড়ে রাখেন যাতে এটি সুরক্ষিত থাকে। তবে টিম মনে করেন তিনি যা করছেন তা নিজের আত্নতৃপ্তি ও অন্যদের আনন্দ দেয়ার জন্যই। 

স্তনের সাহায্যে ছবি আঁকেন কীরা আইন ভার্সেগি 

মার্কিন শিল্পী কীরা আইন ভার্সেগি চিত্র আঁকতে ব্যবহার করেন তার স্তন। এটিকে তিনি ব্রাশের মতো ব্যবহার করে থাকেন। কীরা সরাসরি তার স্তনে রং প্রয়োগ করেন এবং এটি দিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকতে শুরু করেন। অনেক রঙের সংমিশ্রণেও তিনি স্তন দিয়ে ছবি আঁকেন। নিজের কাজে যতক্ষণ না তিনি সন্তুষ্ট হন ততক্ষণ পর্ন্ত তিনি চিত্রটি পুনরায় আঁকতে থাকেন। কীরা আইন ভার্সেগির এভাবে ছবি আঁকার প্রধান উদ্দেশ্য আবেগকে প্রশ্রয় দেয়া।

এছাড়াও মানুষকে আনন্দ দেয়া এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানো। কীরা প্রথমে বিভিন্ন ব্রাশ, খেলনা এমনকি শাক-সবজি ব্যবহার করতেন ছবি আঁকাতে। এরপরে তিনি তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ব্যবহার করতে শুরু করেন। এতে অল্প কিছুদিনেই তিনি সফলতা পান। স্তন দিয়ে ছবি আঁকা আপনার কাছে সহজ মনে হতে পারে কিন্তু এটি মোটেই সহজ কাজ ছিল না। তার আঁকানো প্রতিটি চিত্রকর্মের মূল্য প্রায় কয়েকশ’ ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি দেয়ালে কমপক্ষে তার একটি শিল্পকর্ম রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.