রান্নার হলুদে অনেক উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রান্নায় হলুদের ব্যবহারের রীতি হাজার বছরের। শুধু রান্নাতেই বা কেন, আয়ুর্বেদে এই হলুদের নানা গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারতীয়রাও বহু বছর ধরেই হলুদ খাচ্ছেন। কখনও রান্না, আবার কখনও দুধ বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকেই হলুদ খান।

কিন্তু শরীরে হলুদ কেমন প্রভাব ফেলে? সম্প্রতি হেল্থ অপ্টিমাইজিং বায়োহ্যাকার-এর অন্যতম প্রধান টিম গ্রে হলুদ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জানান, হলুদে কারকিউমিন নামের একটি উপাদান রয়েছে। সেটি শরীরে নানা ধরনের প্রভাব ফেলে।


দেখে নেয়া যাক, সেগুলি কী কী-


ডায়াবেটিস: নিয়মিত হলুদ খাচ্ছেন? জেনে রাখবেন, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমছে। হলুদ মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কমে যায় ডায়াবিটিসের আশঙ্কা।


লিভারের অসুখ: হলুদ লিভারের অশুখ ঠেকাতে দারুণ কার্যকর। এটি নিয়মিত খেলে লিভারের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।


অতিরিক্ত মেদ বা ওবেসিটি: শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা ওবেসিটির জন্য অনেক সময়ে দায়ী হয় এই প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগগুলো। নিয়মিত হলুদ খেলে এই সমস্যাও কিছুটা কমতে পারে।


অস্টিওআর্থারাইটিস: হলুদের উদ্ভিদ যৌগগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কারকিউমিন। এটি শরীরের প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগগুলির পরিমাণ কমায়। ফলে কমে যায় অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো অসুখ।


হৃদরোগ: হার্টের নানা ধরনের অশুখের জন্য দায়ী LDL cholesterol এবং triglycerides। এই দু’টিকেই কমাতে পারে হলুদ। ফলে নিয়মিত হলুদ খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও অনেকখানি কমে যায়।


ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণ: হলুদে ব্যাকটিরিয়া বিরোধী যৌগ রয়েছে। ফলে এটি এই জাতীয় সংক্রমণ আটকাতে খুবই কার্যকর।


ফাংগাসজাতীয় অসুখ: ফাংগাসের কোষে ঢুকে গিয়ে কারকিউমিন সেগুলোর বৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ফাংগাস বা ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত হলুদ খেতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.