কাজের চাপে জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না? কোন কৌশলে গড়ে তুলবেন এই অভ্যাস



 ODD বাংলা ডেস্ক: জল খাওয়ার কথা ভুলে যান অনেকেই। এতে জলের অভাব ঘটে শরীরে। ব্যস্ততা থাকলেও জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন কী ভাবে?


শরীর সুস্থ রাখতে জল অপরিহার্য। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। সুস্থ থাকতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন কারণে অনেকেই সারা দিনে পর্যাপ্ত জল খেতে ভুলে যান। ফলে শরীরে ঘাটতি দেখা দেয় জলের। গরমে সময় তা-ও জল খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও শীত ও বর্ষায় আবহাওয়া জল খাওয়ার পরিমাণ আরও অনেক কমে যায়। এখন বর্ষাকাল। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও কম। ফলে গ্রীষ্মের চেয়ে এই সময় তৃষ্ণার অনুভূতি কিছুটা হলেও কম থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। ফলে শরীরে তরল পদার্থ (বডি ফ্লুইড) হ্রাস পায়। তাই বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া সারা দিনে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এগুলি জলের অভাবকে আরও প্রকট করে তোলে। নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সুস্থ থাকতে জল খাওয়া তাই অত্যন্ত জরুরি।


সারা দিনের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন কী ভাবে?


১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে প্রথমে সারা দিনে ৩-৪ লিটার জল খাওয়াটা সম্ভব নয়। তবে অল্প অল্প করে শুরু করুন। সারা দিনে কতটা জল খাবেন তা সকালেই ঠিক করে নিন। তার পর সেই অনুযায়ী আপনার সুবিধামতো জল খান।


২) অফিসে হোক বা বাড়িতে নিজের কাছে সব সময় একটি জলের বোতল রাখুন। যাতে কাজ ছেড়ে উঠতে হবে বলে জল খাওয়াতে না ঘাটতি পড়ে। এতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে জল খাওয়া হয়ে যাবে। আবার বাড়তি সময়ও নষ্ট হবে না।


৩) সারা দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের আবহে থাকলে আরও বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর আর্দ্র রাখতে জল না হলেও ডাবের জল, ফলের রসের মতো কিছু পানীয়তে চুমুক দিন।


৪) জলের পরিমাণ বেশি এমন ফল বেশি করে খান। শশা, লেবু, স্ট্রবেরি, তরমুজের মতো জল জাতীয় ফল রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন।


৫) খাওয়ার আগে জল খেয়ে নিতে ভুলবেন না। খাবার খাওয়ার সময়ে জল খাবেন না। এতে হজমের গন্ডগোল হতে পারে। খাওয়ার পরেই জল না খাওয়া ভাল। খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর জল খান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.