কেন ৯৩১টি খুনের আসামি এই যুবক?
ODD বাংলা ডেস্ক: খুন শব্দটি শুনলেই মনের ভেতর একটা ভয় কাজ করে। খুন করা মানুষগুলোকে আসলে মানুষ বলাই ভুল। তাছাড়া ওই সিরিজ খুনের আসামির নাম শুনলেও আৎকে ওঠেন অনেকেই।
এমনই একজন যুবকের নামও আছে ওই খুনিদের মধ্যে। যে কিনা একাই ৯৩১টি খুন করেছেন। শুনে নিশ্চয় আশ্চর্য হয়েছেন! কতটা ভয়ংকর এই যুবক। যে কিনা নিরবে একের পর এক খুন করে গেছেন। কিন্তু তারপরও থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এমন এক ব্যক্তি ভারতেই ছিলো যে একেবারে সাদামাটা পদ্ধতিতে খুন করতো একের পর এক। সে খুন করেছে সর্বমোট ৯৩১ জনকে।
কে সেই ব্যক্তি?
নাম জানার আগে একটু শব্দ নিয়ে তথ্য দেয়া যাক। ‘ঠগ’ শব্দটি নিশ্চয়ই সকলের জানা। যে ঠকায়? না, ঠিক তা নয়। এখানে এর ব্যবহার ভিন্ন। ‘ঠগ’ শব্দটি এসেছে ‘ঠগি’ থেকে। অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতকে ভারতে এই ঠগিদের দাপট বেড়ে গিয়েছিল মারাত্মকভাবে। এরা ছিল ডাকাত। তবে ডাকাতির আগে এদের কাজ ছিলো খুন করা।
যেভাবে খুন করতো ঠগিরা?
খুন করতে ব্যবহার করা হত ‘‘কোমরবন্ধ’’ নামে একটি কাপড়। কোমরে জড়িয়ে রাখা সেই কাপড়ের একপ্রান্তে বাঁধা থাকত ওজনদার জিনিস। সেটা পাথর থেকে শুরু করে লোহার টুকরোসহ হতে পারত অনেক কিছুই। যাকে হত্যা করা হবে, তার সামনে দাঁড়িয়ে গলা তাক করে ছুঁড়ে দেয়া হত এই কাপড়। ভারী প্রান্ত প্যাঁচ খেয়ে ফাঁস লাগাত গলায়। এই পদ্ধতিতে মৃত্যু ঘনাতে খুব বেশি সময় লাগত না।
এই ঠগিদেরই সরদার ছিল ঠগি বেহরাম। তাকে বলা হত ‘‘ঠগিদের রাজা’’। খুন করা তার কাছে ছিল ধর্মের পালন। ত্রয়োদশ শতক থেকেই ঠগিরা মাথাচাড়া দিয়েছিল। কিন্তু বেহরাম ছিল তাদের সর্বশেষ এবং সবথেকে ভয়ংকর খুনি।
তবে বেহরাম স্বীকার করেছিল ১২৫টি খুনের কথা। বলেছিল আরো শ’দেড়েক খুনে সে সাহায্য করেছিল। এর ব্যাপারে নানা গল্প এখন ভারতের বিভিন্ন স্থানে শুনা যায়।
Post a Comment