এই ৪ জায়গায় অর্থ ব্যয় করলে পাশে থাকবেন লক্ষ্মী, বাড়বে সম্মান
ODD বাংলা ডেস্ক: আচার্য চাণক্যের নীতি শাস্ত্রের মাধ্যমে জীবনে আগত নানান সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। বহু যুগ আগে বলে যাওয়া চাণক্যের উপদেশ আজকের যুগেও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। তাঁর কথা পালন করে ব্যক্তি নিজের জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে পারে। ক্রমশ তাঁদের সাফল্য লাভের পথও প্রশস্ত হয়। নিজের নীতি শাস্ত্রে অর্থ, ধন-সম্পদের বিষয়ে নানান কথা বলেছেন আচার্য। আবার কাকে বিশ্বাস করবেন, কার ওপর ভরসা করবেন না, সে সব চাণক্যের নীতি শাস্ত্র থেকে জানা যায়। আবার কোথায়, কী ভাবে অর্থ ব্যবহার করা যায় তা-ও জানিয়েছেন। চাণক্য জানিয়েছেন যে, এমন কিছু স্থান আছে, যেখানে অর্থ ব্যয় করলে অর্থ-বৈভব ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। কোথায় ব্যয় করা সত্ত্বেও সম্ভব সম্পত্তি-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি জেনে নিন।
অসুস্থতা
চাণক্য নীতি অনুযায়ী সবসময় অসুস্থ ব্যক্তির সাহায্য করা উচিত। এর ফলে সেই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠবে ও সে নতুন জীবন লাভ করবে। কারও জীবন রক্ষা করা পরোপকারের কাজ। এর ফলে পুণ্যফল লাভ করা যায়। অন্যের খারাপ সময়ে তাঁদের সাহায্য করলে লক্ষ্মী আপনার ওপর প্রসন্ন হবেন। তাঁর আশীর্বাদ সবসময় আপনার সঙ্গে থাকবে।
দরিদ্রদের সাহায্য করুন
চাণক্যের উপদেশ অনুযায়ী সবসময় অসহায়, দরিদ্রদের সাহায্য করা উচিত। দরিদ্রদের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তার পরিবর্তে ব্যক্তি সকলের আশীর্বাদ লাভ করে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে দান-ধর্ম সবচেয়ে বড় পুণ্য। দরিদ্রদের সাহায্য করলে সমাজে মান-সম্মান বৃদ্ধি পায়। তাই সবসময় অসহায় ব্যক্তিদের সাহায্য করা উচিত।
সামাজিক কাজে দান
সমাজ সেবা বা সামাজিক কাজের জন্য ব্যক্তিকে সবসময় দান করা উচিত। নিজের আয়ের একটা অংশ কিছু ব্যক্তিকে দান করে দেওয়া শুভ। প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী দান করার কথা বলেছেন চাণক্য। এর ফলে সমাজে মান-সম্মান বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি যে সমাজে বাস করে, সেখানে যদি তাঁরা কিছু সুবিধা প্রদান করে থাকে, তা হলে ভবিষ্যতে নিজেও তা লাভ করবেন।
ধর্মীয় স্থান
চাণক্য বলেছেন যে, ধর্মীয় কাজের জন্য দান করা অত্যন্ত শুভ। কোনও পবিত্র স্থানে দান করলে পুণ্য লাভ করা যায়। এর প্রভাবে জীবনে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এমনকি দুঃখ-দারিদ্র দূর হয়। তাই কখনও মন্দির বা কোনও পবিত্র স্থানে দান করা থেকে পিছু সরবেন না।
Post a Comment