নগ্ন থাকাই এ জাতির রীতি, গাছের ডালেই বাঁধেন সংসার
ODD বাংলা ডেস্ক: রহস্যময় এই জাতির নাম করোয়াই জাতি। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া নিউগিনিতে এই করোয়াই জাতির বাস। এই জাতি সম্পর্কে সর্বপ্রথম জানা যায় ১৯৭০ সালে। একবার ইউরোপীয় একটি বাণিজ্য জাহাজ পথ ভুলে ওই দ্বীপে চলে যায়। তখন করোয়াই জাতির সঙ্গে পৃথিবীর মানুষের প্রথম দেখা হয়।
এরপর তারা তাদের নিজের দেশে ফিরে এসব তথ্য সকলকে জানালেন। সে তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা এদের সম্বন্ধে গবেষণা শুরু করেন। তবে তাদের সম্বন্ধে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় নি। এরপর অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পল রাফেল ২০০৬ সালে প্রথম তাদের জনসম্মুখে নিয়ে আসেন।
১৯৭৪ সালের আগে বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না করোয়াই জাতির লোকজনদের। তাদের বিশ্বাস ছিল, নিজেদের এলাকা ছেড়ে বের হলে তারা সবাই মারা যাবে। আগে মানুষখেকো হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে করোয়াইরা তাদের মানুষখেকো স্বভাব থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে তাদের অনেকেই দাবি করে, কিছু দূরোণীয় বিদ্বানের কারণে এখনো তারা মানুষখেকো রয়ে গিয়েছে।
করোয়াইরা আলাদা আলাদা দেবতার পূজা করে থাকেন। তাদের কেউ কেউ বিশেষ কোনো আত্মাকে স্রষ্টা বানিয়ে নেয়। আবার কেউ প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সামনে যা পায় তাকেই পূজা করে।
গাছের উপরে ঘর বানানো করোয়াই জাতির একটি প্রধান এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মাটি থেকে ১৪০ ফুট উপরে গাছের কাণ্ডে খুপরি ঘর তুলে সেখানে বসবাস করে। এদের ঘরগুলো গাছের বেশ উপরে বানানো হয়। যার ফলে অন্যান্য গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে এরা অনেক সুবিধা পায়।
করোয়াই জাতির লোকেরা এখনো তীর ধনুক দিয়ে শিকার করে। তারা পাথরের তৈরি অস্ত্রও ব্যবহার করে। আর বেঁচে থাকার জন্য জঙ্গল থেকে পশু আর সাগর থেকে মাছ শিকার করে।
Post a Comment