গাছে ফোটে চকলেট! কি অবাক হচ্ছেন তো?

ODD বাংলা ডেস্ক: চকলেট শুধু ফ্রিজ বা দোকানে না, যদি পওয়া যায় বাগানে? তবে বেশ ভালোই হবে। এই চকলেট সেই মুখরোচক চকলেট নয়। বলছি চকলেট ফুলের কথা।
চকলেট কসমস একটি বিরল প্রজাতির ফুল।

ফুলটির ঘ্রাণ একদম চকলেটের মতো। যে ফুলের ঘ্রাণ আপনি আনন্দের সাথেই নিতে পারেন। ফুলটি লাল রঙের। মখমলের মতো পাতা এবং মাঝখানটা দেখতে কিছুটা কালচে রঙের।

১-৮০০-ফ্লাওয়াস ডটকমের প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইনের ভিপি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যালেরি ঘিটেলম্যান এই ফুলের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, যদিও এই ফুল থেকে কেউ কেউ লাল রেড ভেলভেট কেকের অনুভূতি পান। তবে এর সুবাস আমাকে চকোলেট এবং তাজা বেকড চকলেট বিস্কুটের গন্ধ মনে করিয়ে দেয় যা অতুলনীয়।

চকলেট কসমসের যত্ন যেভাবে নিতে হয়
বাগানেও চাষ করা যায় চকলেট গাছ। চকলেট কসমস সবাইকে আনন্দ দেবে। এতে কোনো ভুল নেই। চকলেট কসমস ফুল (কসমস অ্যাট্রোসাঙ্গুইনাস) খুব সহজেই বড় হয়। যেকোনো পাত্রে বা বাড়ির আঙ্গিনায় এ গাছ লাগানো যায়। ফুলের ঘ্রাণ প্রজাপতিকে খুব আকর্ষণ করে। আপনার জন্যেও একই বিষয় ঘটবে।

চকলেট কসমসের জন্ম মূলত মেক্সিকোতে। মেক্সিকোর স্থানীয় হলেও অন্য দেশের আবহাওয়াতেও জন্মায়। চকলেট কসমসের জন্য প্রয়োজন উর্বর মাটি। গোড়ায় পানি জমে থাকা যাবে না। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা রোদ লাগতে হবে। খুব বেশি পানি ঢালা যাবে না। প্রতিদিন পানি দিলে শেকড় পচে যেতে পারে। সপ্তাহে একবার খুব ভালো করে পানি দিলেই চলবে।

অন্যান্য কসমস গাছের মতো চকলেট কসমস বীজ থেকে জন্মায় না। পুরনো গাছের গোড়া থেকে নতুন চরা গজায়। সেই গোড়া নিয়ে মাটিতে লাগাতে হবে। চকলেট গাছ মার্চ, এপ্রিল বা সেপ্টেম্বর মাসে লাগালে ভালো। গাছের ফুল মরে গেলে ছেঁটে ফেলতে হয়। এতে গাছের উপকার হবে এরং নিয়মিত করতে হবে।

তবে যদি উষ্ণ জলবায়ুতে গাছটি রোপন হয় তাহলে শীতকালে গাছের গোড়ার চারদিক ভেজা রাখতে হব। ঠাণ্ডা জলবায়ুতে হালকা ভেজা থাকলেই চলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.