মাকড়সারা মানুষের মতো ঘুমায়? গবেষণা আরও যা বলছে

ODD বাংলা ডেস্ক: মাকড়সারা কি ঘুমায়? মানুষের মতো তাদের কি ঝিমুনি পায়? সেই ঘুমে কি হানা দেয় স্বপ্ন? মাকড়সাদের ওপর চালানো এক গবেষণার প্রতিবেদন এমন প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে।  পিএনএএস জার্নাল ৮ আগস্ট এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।   পিএনএএস জার্নালের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে 'স্পাইডার্স কুড হ্যাভ ড্রিমস অ্যান্ড স্লিপ লাইক হিউম্যানস, সায়েন্টিস্টস সে'। যার ভাষান্তর হয় : 'মাকড়সারা সম্ভবত মানুষের মতোই স্বপ্ন দেখে, ঘুমায়।' বলছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বিশেষ ক্যামেরা ব্যবহার করে জাম্পিং মাকড়সা প্রজাতির বাচ্চাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে যখন রাতে তারা বিশ্রাম নেয় তখন তাদের রেটিনা সরে যায়। এ ছাড়া তাদেরকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মোচড়াতে দেখা যায়।  পাও কুঁচকানো দেখা যায়।

জার্মানির কনস্ট্যানজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষকসহ অন্যান্য গবেষকরা এ ঘটনাকে ঘুমের 'আরইএম স্তর' বলে বর্ণনা করেছেন। আরইএম হলো ঘুমের একটি স্তর, যেখানে চোখের পাতা দ্রুত নড়াচড়া করে। এটি মূলত ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকলাপের একটি লক্ষণ।  আরইএম স্তরের ঘুমের সঙ্গে স্বপ্ন দেখারও গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

পূর্ববর্তী কিছু গবেষণায় পোকামাকড়, কৃমি এবং হাঙরসহ কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে ঘুমের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব ধারণা এখনো অস্পষ্ট। কিন্তু নতুন এই গবেষণাটি ডাঙার প্রাণীদের বিশেষ করে মেরুদণ্ডী ও স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদের ঘুম নিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

গবেষকরা বলছেন, আরইএম ঘুমের সময় চোখের নড়াচড়ার ধরনগুলো তাদের স্বপ্ন দেখার সময়ের অভিজ্ঞতার দিকেই ইঙ্গিত করে। যার ফলে মাকড়সারা আসলেই স্বপ্ন দেখে কি না সেই প্রশ্ন আরো জোরালো হলো।

প্রাণিজগতের প্রাণীদের মধ্যে ঘুম একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এটি এখনো অস্পষ্ট যে এই ঘুমের পর্যায়গুলো কিভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা প্রাণীদের মধ্যে কাজ করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.