অনিদ্রা দূর করতে যা করবেন

ODD বাংলা ডেস্ক: সারা দিনের পরিশ্রম, ক্লান্তি আর ব্যস্ত রুটিনের কারণে অনেক সময়ই মনে বাসা বাঁধে দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক অস্বস্তি। ফলে ঘুম জানালা দিয়ে পালায়! আসলে বহু মানুষই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে মানসিক অবসাদ, হ্যালুসিনেশন থেকে শুরু করে নানারকমের মানসিক অসুখও দেখা দিতে পারে। কাজেই আগে থাকতেই সতর্ক হওয়া দরকার। সামান্য কয়েকটা বিষয় নজর রাখলেই ঘুমার সমস্যা দূর হবে!

চিকিসৎকরা বলছেন, নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে একজন মানুষ ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এতে একটি সুন্দর জীবনও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। কিন্তু জানেন কি কিছু কিছু উপায় মেনে চললে অনিদ্রা দূর করা সম্ভব?

খাদ্যতালিকায় মনোযোগ

ভালো ঘুম হওয়ার জন্যও খাদ্যতালিকায় মনোযোগ দেওয়া দরকার। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, খাদ্যতালিকায় ৬৫ শতাংশ কার্ব‌হাইড্রেট, ২৫ শতাংশ প্রোটিন এবং ১০ শতাংশ ফ্যাট হওয়া দরকার। ডায়েট থেকে একেবারে ফ্যাট বাদ দেওয়া উচিত না। আবার অত্যধিক ফ্যাট খাওয়াও ভালো না। এ রকম উপযুক্ত ডায়েট ঘুমকে উন্নত করতে পারে।

অত্যধিক চা-কফি পান করা

অনেকেই প্রচুর পরিমাণে চা-কফি পান করেন। অনেকেই রাতে কফি পান করা পছন্দ করেন। ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এই ধরনের খাবারগুলো শরীরকে এনার্জে‌টিক করে তোলে এবং ঘুমের পরিমাণকে কমায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সারা দিনে এই ক্যাফেইন পান করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।

নিয়মিত যোগব্যায়াম

ঘুমের জন্য ক্লান্ত হওয়া দরকার। তবে খুব বেশি না। যারা একেবারেই সারাদিন কোনো পরিশ্রম করেন না তাদের ঘুম সহজে হয় না। অন্যদিকে, বেশি মানসিক চাপ থাকলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এর জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা উচিত। যোগ ব্যায়াম করলে মানসিক চাপও কমে এবং শরীরে পরিশ্রম হয়। এর ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়।

প্রতিকার

ট্রাইফটোফোন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা আমাদের শরীরে সেরোটোনিন, ঘুম-প্ররোচিত হরমোন উৎপাদন করে। এটি দুধ, ডিম, মাছ, মুরগির মতো প্রোটিনে পাওয়া যায়। যদি এগুলো দিনের বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে ভালো ঘুম আসে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করাও উপকারী। কিন্তু আপনি যদি খুব দীর্ঘ সময় ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগেন, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেরি করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.