রক্ত আর কাঁচা মাংস তার লাঞ্চ-ডিনার, পশুর চর্বি দিয়ে মাজেন দাঁত
ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনধারণের জন্য সবাই খাবার খেয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে খাবারের বিকল্প কিছুই নেই। সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন খাবার। কারোবা ভাত-মাংস, আবার কারো পোলাও-কোরমা। তবে কারো খাবারের তালিকায় রয়েছে কাঁচা মাংস, টাটকা রক্ত। শুনেই যে কারোরই চক্ষু চড়াগাছ হবার জোগাড়। তবে হ্যাঁ, এই ঘটনা গত ৫ বছর ধরে ঘটিয়ে চলেছেন কেনটাকির লেক্সিংটনের ডেরেক ন্যান্স।
তিনি যে এটি খেতে পছন্দ করেন, বিষয়টা এমন নয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই কাঁচা মাংস খাচ্ছেন তিনি। ডেরেক ন্যান্স গত ৫ বছর ধরে নিজ হাতে পশু জবাই করে মাংস কোনো রকম রান্না না করে কাঁচাই খান। কাঁচা মাংস খাওয়ার নেশার জন্য তিনি পশুর চর্বি দিয়ে দাঁত মাজেন ও টাটকা রক্ত পান করেন।
তিনি জানান, এর জন্য তার পাকস্থলীর কোনো সমস্যা হয় না। বরং তিনি মনে করেন, রান্না মাংসের চেয়ে কাঁচা মাংসই বেশি সুস্বাদু। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে তিনি কোনো খাবার খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ডাক্তাররা ধারণা করেছিল তার খাদ্য এলার্জি হয়েছে।
তিনি তার এই খাদ্য এলার্জির জন্য ওজন হারাতে থাকেন। এরপর তিনি বিভিন্ন ইন্টারনেটের সাইট ঘেঁটে সুষম খাদ্যের তালিকা করেন। তাতেও কোনো কাজ না হওয়ায় তিনি নিরামিষ ভোজী হয়ে যান। তবে তার এই পন্থাও কোনো কাজে না আসলে তার একজন লোকের কথা মনে পরে যার একই রকম সমস্যা ছিল। এছাড়াও কাঁচা মাংস খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে পড়াশোনা করতে থাকেন তিনি। যাকে গুহা মানবের খাদ্য তালিকা বা প্যালিওলিথিক খাদ্য দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি এত দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলাম যে, আমি যে কোনো খাবারই খেতে প্রস্তুত ছিলাম। আমার দুটো ছাগল ছিল এগুলো থেকে দুধ দোহন করতে করতে আমি বিরক্ত হয়ে তাদের হত্যা করি ও তাদেরকে কাঁচাই খেয়ে ফেলি।
১৯৩০ সালের দিকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে কাঁচা মাংস খাওয়ার প্রচলন ছিল। সেসময়ের কিছু আর্টিকেল এবং গবেষণার তথ্য মতে কাঁচা মাংস শরীরের খুব বেশি ক্ষতি করে না। যদি সেটা টাটকা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু বন্য পশু আছে যেগুলোর মাংস কাঁচা খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। কেননা কাঁচা মাংসের মধ্যে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে।
রান্না না করে সরাসরি কাঁচা খেলে মানবদেহে এই রোগের বিস্তার ঘটা কোনো কঠিন কিছু নয়। প্রাচীনকালে মানুষ পশুর মাংস খেয়েই জীবনধারণ করত। তবে আগুন জ্বালাতে শেখার পর ঝলসিয়ে মাংস খেতে শুরু করে তারা। এখনো বিশ্বের পিছিয়ে পড়া অনেক আদিবাসী মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখির মাংস কাঁচা খেয়ে থাকে।
তবে ডেরেক ন্যান্স শখের বসে নয়, বরং জীবন বাঁচাতেই এই খাবার বেছে নেন। এখন পর্যন্ত ডেরেকের কাঁচা মাংস কিংবা রক্ত খেয়ে শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি অ্যালার্জির সমস্যাও হয়নি। ডেরেকের এই অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে তার পরিবারের মানুষ এনমকি তার বান্ধবীর কোনো আপত্তি নেই।
Post a Comment