গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে রাশিয়া

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি  ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাশিয়া তাদের একটি গ্যাস স্থাপনায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় এক কোটি ডলার। একজন ফিনিশ নাগরিক ২৪শে জুলাই রাশিয়ার গ্যাস স্থাপনার প্রায় ২৩ মাইল দূর থেকে এই ছবিটি তুলেছেন।

এ বছরের আরো কিছু আগের দিকে ফিনল্যান্ডের কিছু নাগরিক প্রথমে দেখতে পান যে রাশিয়ার সীমান্তের ওপারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তারা প্রথমে ভেবেছিলো সেখানে হয়তো কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই স্থাপনাটিতে যে পরিমাণে গ্যাস পোড়ানো হচ্ছে তা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে।


রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের নতুন এই স্থাপনাটি ফিনল্যান্ড সীমান্তের কাছে, সেন্ট পিটার্সবার্গের উত্তর-পশ্চিমে। এই গ্যাস এর আগে নর্ডস্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে রফতানি করা হতো। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে রাশিয়া এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।


মস্কো বলছে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। জার্মানি কিন্তু তা বলছে না। তারা বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি কমিয়ে দেওয়ার পর, রাজনৈতিক কারণেই মস্কো গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সে যাইহোক ইউরোপ জুড়ে জ্বালানির মূল্য এখন নজিরবিহীন হারে বেড়েছে।


ব্রিটেনে জার্মানির রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে বলেছেন, কোথাও গ্যাস বিক্রি করতে না পারায় রাশিয়া এখন এই গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে। জ্বালানি সংক্রান্ত একটি কোম্পানি রাইস্টাড এনার্জি বলছে, পোর্তোভায়ার ওই এলএনজি স্থাপনায় প্রতিদিন ৪০ লাখ ঘনমিটারেরও বেশি গ্যাস পোড়ানো হচ্ছে।


কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই পাইপলাইনে এতো বেশি গ্যাস চলে আসছে যে তা সামাল দিতে গিয়েই সেখানে গ্যাস পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আবার অনেকে মনে করছেন যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। ফিনল্যান্ডের এলইউটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এসা ভাক্কিলাইনেন বলছেন, ‘এতো সময় ধরে গ্যাস জ্বলার অর্থ হতে পারে যে তাদের কাছে হয়তো কিছু যন্ত্রপাতি নেই।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.