অফিসে নারী পুরুষ বৈষম্য কাটাতে পারে এক কাপ চা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১১টা। অভ্যাসবশত অফিসে এই সময়ে চা খাওয়া হয়। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ঘটনাটি অন্যরকম। সাধারণত নারী কলিগরা চা বানিয়ে নিজেরা খান এবং পুরুষ কলিগদেরকেও দেন। একটি গণমাধ্যম অফিসের এই পারিবারিক পরিবেশ নিত্যদিনের। এতে নিজেদের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। কিন্তু আজ যা ঘটলো তাতে মনে হলো এই অফিসের পুরুষ কলিগরা আন্তরিকভাবেই নারী কলিগদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন না। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কাজের ডেস্ক ছেড়ে ডাইনিংয়ে যাওয়ার আগেই নারী সহকর্মীদের জন্য চা নিয়ে হাজির হলেন একজন পুরুষ কলিগ। দৃশ্যটি সুন্দর, আন্তরিক এবং নান্দনিকও বটে! 


ঐ অফিসের সহ-সম্পাদক রোকসানা নূর বলেন, ‘আমি জাস্ট অবাক হয়ে গেছি। এমন কাজের পরিবেশ যেকোনো সহকর্মীর জন্য আনন্দের এবং সমান সম্মানজনক।’


আরেক সহ-সম্পাদক ‘সাদিকা আক্তার বলেন, বিষয়টি ভালো লেগেছে। মাঝে মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় কলিগদের পাশাপাশি থেকে কাজ করি। এক কাপ চা এগিয়ে দেওয়া মানে আন্তরিকতা এবং এতে প্রমাণ হয় নারী পুরুষ বৈষম্য ডেইলি ভারতের পুরুষ কর্মীরা করেন না। তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’


রাসিব মোস্তফা বলেন, ‘সচারচর আপারা (নারী কলিগরা) আমাদের চা বানিয়ে খাওয়ান। আমরা শুধু খেয়ে যাই, আজ সকালে মনে হলো আমরাওতো একদিন চা বানিয়ে আপাদের খাওয়াতে পারি। সেই চিন্তা থেকে চা বানানো।’


ঐ গণমাধ্যম অফিসের উদ্ধতন কর্মকর্তরা বলেন, ‘আমাদের এই সুন্দর দেশে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে এটি আরো আগে থেকেই হওয়ার কথা ছিল। অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছেও। এই অফিসে আপনারা যে সুষ্ঠু সহ-অবস্থানপূর্ণ কাজের পরিবেশ তৈরি করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’


আমাদের অফিসগুলোতে নারী-পুরুষকে সম্মান করবে, পুরুষ নারীকে সম্মান করবে। কাজের পরিবেশ হবে সুষ্ঠু ও সুন্দর-এমনটাই প্রত্যাশা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.