ভুড়ি কমবে তরতরিয়ে! প্রয়োজন শুধু একটা অন্ধকার ঘর



 ODD বাংলা ডেস্ক: পেটের মেদ থাকলে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ , মিনি মিডি বা জিন্স - যাই পরুন কোনওটাতেই সুন্দর দেখায় না। তাই পেটের মেদ অনেক সময়ই সৌন্দর্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সকলেই পেটের মেদ কমাতে চান।


শিল্পা শেট্টির মত ফিগার কে না চান। কিন্তু বাস্তবে শরীরচর্চা করার অতো সময় কোথায়। পেটের মেদ বা ভুঁড়ি- যা দিনে দিনে আরও সমস্যা তৈরি করে তারই হাত থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই অনেক কাজ করেন। বিশেষজ্ঞরা একাধিক ব্যায়াম বা হাঁটার পরামর্শ দেন। কিন্তু সময়ের অভাবে বা আলসেমিতে সেসব আর করে ওঠা হয় না। পেটের মেদ থাকলে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ , মিনি মিডি বা জিন্স - যাই পরুন কোনওটাতেই সুন্দর দেখায় না। তাই পেটের মেদ অনেক সময়ই সৌন্দর্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সকলেই পেটের মেদ কমাতে চান। কিন্তু কঠিন আর কঠোর পরিশ্রমে রাজি নন অনেকেই। ঠিক তাদের জন্যই এই  টিপসগুলো। 


১. ঘর ঠান্ডা রাখুন

ঘুমের সময় ঘর ঠান্ডা থাকলে তা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণ যত বেশি, সাদা ফ্যাটের পরিমাণ তত কম হবে।


২. ঘর অন্ধকার রাখুন

ওজন কমাতে ও ভুরি কমাতে অবশ্যই পুরো ঘর অন্ধকার করে ঘুমান। পুরোপুরি অন্ধকার ঘর মেলাটোনিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে থাকে। যা একটি ঘুম-বিস্তারকারী হরমোন।


৩. গ্রিন টি খান

ভুরি বা ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্রীন টি খান। কারণ, গ্রীন টিতে বেশ কয়েকটি যৌগ রয়েছে, যা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে থাকে।


৪. তাড়াতাড়ি ঘুম

একটি মানুষ যখন গভীর ঘুমে থাকে তখন আমাদের শরীর আরও ক্যালরি পোড়ায়। যতক্ষণ নিঃশব্দে ঘুম হবে, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে।তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করুন খুব তাড়াতাড়ি ঘুমোতে এবং পরদিন সকাল সকাল উঠতে।


৫. নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। তাতে আপনি সর্বদা হাইড্রেটেড থাকবেন।  প্রচুর পরিমাণে জল খেলে একদিকে খিদে কমে যাবে অন্যদিকে শরীরে জলের চাহিদাও পুরণ হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার জলপান করা জরুরি। 


৬. ভুলেও চিনি খাবেন না। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণবাদ দিন। পেস্ট্রি কুকিজ একদম বাদ দিন। ক্যান্ডি , চকোলেটও খাওয়া এড়িয়ে চলুন। চিনি বা শর্করা রয়েছে এমন পানীয় ভুলেও পান করবেন না। 


৭. একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে খাবার খাতে  হয়। তাহলে শরীরে ক্যালরি কম যাবে। একসঙ্গে অনেকটা খাবার শরীরে গেলে সেটি চর্বি তৈরি হয়ে মেদের আকার নিয়ে জমতে শুরু করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.