কুমড়ার বীজ ফেলে দেবেন না! তাহলে কী করবেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: সকাল এবং বিকালের জলখাবার কিংবা চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন কুমড়ার বীজ ভাজা।
কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ রয়েছে। এতে প্রোটিন, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। নিয়মিত যদি এই বীজ খাওয়া যায় তাহলে শরীরে দারুন উপকার পাওয়া যায়। যেমন-

>>যাদের শরীরে ম্যাগনেশিয়াম কম থাকে তাদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়। দিনের চাহিদা প্রায় ৩৭ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কুমড়ার বীজে।এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

>>ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের সেরা উৎস হচ্ছে কুমড়ার বীজ। এটি খেলে পরিপাক ভালো হয়। কুমড়ার বীজে ফসফরাসও পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। 

>>কুমড়ার বীজের জিঙ্ক এবং ফসফরাস হাড় মজবুত করে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়। ওমেগা থ্রি’র ভালো উৎস হওয়ায় এটি মাংসপেশী নরম করতে সাহায্য করে।  

>>যখন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে তখন মানসিক চাপও কমে যায়। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

>> যেকোনো ধরনের টিউমার , সংক্রমণ এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্যও এসব ফ্রি রেডিকেল দায়ী। কুমড়ার বীজ শরীরের যেকোনো অংশকে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- ক্যারোটোনয়েডস এবং ভিটামিন বি এর ভাল উৎস হওয়ায় এটি শরীরের জন্য ভালো। 

>> কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে -যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার জন্য দারুন উপকারী। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। অন্য এক গবেষণা বলছে, কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.