বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জের, আরও খারাপ হতে পারে ওড়িশার বন্যা পরিস্থিতি


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ওড়িশায়। বিপর্যস্ত  ওড়িশার ১০টি জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ফলে ওড়িশায় প্রায় ১,৪০০ গ্রাম ভেসে গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবল বর্ষণে মহানদী ফুঁসে উঠতেই বাঁধ ভেঙে যায়। জলমগ্ন কটক সহ বিভিন্ন এলাকা। দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর। এই পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। 

শুক্রবার ও শনিবার ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আজ সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল, উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের দিকে অগ্রসর হবে। ২৪ হাজার হেক্টর চাষের জমি ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিরাকুঁদ বাঁধের বহু গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনর জানান, উদ্ধারের কাজে ওড়িশা ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। 

শুক্রবার সকাল থেকেই কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ ৭ টি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি  কটক, জগৎসিংপুর ও সম্বলপুর সহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। বন্যা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর চালান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আগামী ১৫ দিন এই জেলায় সমস্ত গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.