সদা হাসিখুশি এই ৫ রাশির জাতক, সহজেই উন্নতির শীর্ষে পৌঁছন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনে আনন্দিত থাকার চেষ্টা করি আমরা প্রত্যেকেই। কাজে সাফল্য, উন্নতি লাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করে থাকি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বল্প প্রচেষ্টাতেই উন্নতি লাভ করি। আবার কঠিন পরিশ্রম ছাড়াও কারও কারও ভাগ্যে উন্নতির মুখ দেখার সুযোগ আসে না। অধিকাংশ ব্যক্তির কাছে হাসিখুশি থাকা ও উন্নতি লাভ সমার্থক। কোনও ব্যক্তি নিজের লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করেন, আবার কেউ কেউ পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করেই সময় কাটিয়ে দেন। জ্যোতিষ মতে উন্নতি লাভ, আনন্দে থাকা এ সবেরই জন্যই সেই ব্যক্তির গ্রহগতি দায়ী। জ্যোতিষে বর্ণিত ১২টি রাশির মধ্যে এমন কিছু রাশি রয়েছে, যাঁর জাতকরা সদা হাসিখুশি থাকেন, উন্নতি লাভ করতে পারেন। আপনিও এই তালিকায় আছেন কি না, জেনে নেওয়া যাক।


​মেষ রাশি


রাশিচক্রের প্রথম রাশি এটি। নিজের জীবনে আনন্দের আগমন ঘটানোর নিজস্ব পন্থা রয়েছে এঁদের কাছে। অন্যদের খুশি করার প্রচেষ্টার পরিবর্তে নিজেকে সন্তুষ্ট ও আনন্দিত রাখতে অধিক আগ্রহী আপনি। আপনার চাকরি, পরিবার, প্রিয় ও বিলাসবহুল বস্তু আপনাকে আনন্দিত করে। মেষ রাশির জাতকরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচতে চান। তাই জীবনের বড় থেকে ছোট সমস্ত লক্ষ্য পূরণের মধ্যে দিয়েই নিজের আনন্দের রসদ খুঁজে পান আপনারা।


মিথুন রাশি


রাশি চক্রের সবচেয়ে হাসিখুশ রাশি এটি। জ্যোতিষ মতে এই রাশির জাতকরা প্রবল ভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। তবে এঁরা জীবনের দুঃখ জর্জরিত অংশটি ঝেরে ফেলে আনন্দপূর্ণ আবেগ ও হাসিখুশি থাকার ওপরই অধিক জোর দেন। এই রাশির জাতকরা পুরোদমে নিজের জীবন উপভোগ করেন। ছোটখাটো বিষয়েই আনন্দিত হয়ে পড়েন এঁরা। মিথুন জাতকরা যখনই হতাশ ও দুঃখিত অনুভব করেন তখন দ্বিমুখী চরিত্রের চিহ্নযুক্ত এই রাশিটি তাঁদের আনন্দিত হওয়ার একাধিক পথ দেখিয়ে দেয়। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও এই রাশির জাতকরা চট করে কোনও আনন্দঘন মুহূর্তে নিজেকে চালনা করে দিতে পারেন। কারণ এই রাশির জাতকরা দুঃখিত থাকতে পারেন না। ভালো ও মন্দ সময়ের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন আপনারা। শুধু নিজেরই নয়, নিজের চারপাশে সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে থাকেন এই রাশির জাতকরা।


​সিংহ রাশি


মিশ্র ব্যক্তিত্ব দেখা যায় এই রাশির জাতকদের মধ্যে। খোশমেজাজে থাকেন এঁরা, যে কারণে রাশিচক্রের সমস্ত রাশির মধ্যে সিংহ জাতকদেরই সবচেয়ে জীবন্ত মনে হয়। পার্টি করতে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এঁরা। জ্যোতিষ মতে এই রাশির জাতকরা সহজেই কোনও ফাঁদে পা দিয়ে দেন। কিন্তু কখন ও কী ভাবে সেখান থেকে বেরোতে হবে, তা-ও এঁরা বুঝে যান তাড়াতাড়ি। জীবনকে খুব সহজ-সরল মনে করেন, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকেন এঁরা। কাজ ও আবেগের জালে জড়িয়ে নিজেকে সচরাচর ভারাক্রান্ত করে তোলেন না সিংহ রাশির জাতকরা।


​তুলা রাশি


সামাজিক জীব এই রাশির জাতকরা। জ্যোতিষ মতে তুলা রাশির জাতকরা সকলকে নিজের সঙ্গে জুড়ে রাখেন। বহির্মুখী চরিত্রের কারণেই এমন সম্ভব হয়। শান্ত ও সন্তুষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হন এই রাশির জাতকরা। ছোটখাটো বিষয়ের মধ্যে দিয়েই জীবনের আনন্দ খুঁজে পান এঁরা। বন্ধু ও সামাজিক জীবনই এঁদের মূল চালিকা শক্তি এবং এ কারণেই তুলা জাতকদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দেখা যায়। কর্মক্ষেত্রে সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তুলা রাশির জাতকরা। অতি সহজেই যে কোনও কাজ সম্পন্ন করতে পারেন এঁরা। সকলের প্রিয় আপনি। হতাশা ও দুঃখকে সহজে নিজের ধারে-কাছে আসতে দেন না।


​ধনু রাশি


এই রাশির জাতকরা রহস্য-রোমাঞ্চে জীবন কাটাতে ভালোবাসে। জীবন সম্পর্কে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এঁরা। জীবনে নতুন নতুন জিনিস উপভোগ করতে ভালোবাসেন। জ্যোতিষ মতে এই রাশির জাতকদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এঁদের সহজেই কোনও খারাপ বা নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। নিজের অভিনব চিন্তাভাবনার ওপর জোর দিয়ে এঁরা সহজেই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই রাশির জাতকরা আনন্দিত থাকেন। নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে বেশি সময় লাগে না এঁদের। শুধু নিজের লক্ষ্য পূরণ করেই যে আনন্দিত হন, তা নয়, বরং জীবনে নতুনের আগমন হলেও এঁরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। মর্যাদা দেওয়া ও সম্মানজ্ঞাপন এই রাশির জাতকদের অভিনবত্ব। জ্যোতিষ মতে পরিবার বা বন্ধুদের কাছ থেকে এঁরা নিজে যা পান, তার চেয়ে অনেক বেশি ফিরিয়ে দেন। এই রাশির জাতকরা জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেন ও সদা হাসিখুশি থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.