কিভাবে বুঝবেন আপনজন মাদকাসক্ত কি না?
ODD বাংলা ডেস্ক: ২০২০ সাল থেকে মাদকাসক্তির কারণে মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এদিকে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে হেরোইন গ্রহণে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যমতে মাদকাসক্তে মৃত্যুর সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। হেরোইন ক্লাস এ-এর অন্তর্ভুক্ত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বেদনানাশক মাদক।
হেরোইন আসক্ত ব্যক্তির ছয়টি লক্ষণ জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের মাদক নিরাময় ক্লিনিক ডিলামের। চলুন সেগুলো জানা যাক:
তন্দ্রাচ্ছন্নতা
যদি কেউ অবসাদগ্রস্ত থাকে কিংবা নিয়মতি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যায় তাহলে তাকে হেরোইনে আসক্ত ভাবা যেতে পারে। এটি হেরোইনের প্রভাব। হেরোইনের একটি বড় ডোজ সেবনে মানুষ এক প্রকারের স্বপ্নের জগতে চলে যায় ফলে সে বারবার তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
অনিয়ন্ত্রিত পা নাড়ানো
হেরোইন সেবন বা ছেড়ে দেওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো অনিয়ন্ত্রিত পা নাড়ানো। কেউ হেরোইনে আসক্ত হলে এটি হতে পারে। আবার কেউ যদি হেরোইন ছেড়ে দেয় তাহলেও এ লক্ষণ দেখা যায়।
ক্ষত ত্বক
হেরোইনে আসক্তি থাকলে মানুষ ঘন ঘন নিজের শরীর চুলকায়। ফলে ত্বকে চুলকানোর দাগ পড়ে যায় এবং একসময় ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
হঠাৎ আচরণগত পরিবর্তন
যদি কারো আচরণে হঠাৎ করেই পরিবর্তন দেখা যায় যেমন পড়াশোনা বা কাজ থেকে বারবার মনোযোগ চলে যাওয়া, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া কিংবা একসময় গুরুত্ব দেওয়া জিনিসে আগ্রহ কমে যাওয়া, তাহলে বুঝতে হবে সে হেরোইনে আসক্ত।
নাটকীয় ওজন হ্রাস
হেরোইন আসক্তি ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে দেয়। ফলে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যায়। যদি কারো খুব অল্প সময়ে ওজন নাটকীয়ভাবে কমে যায় তাহলে এটি হেরোইন সেবনের একটি লক্ষণ।
গোপনীয়তা
হেরোইন আসক্ত ব্যক্তিরা তাদের হেরোইন সেবনের ব্যাপারে খুব গোপনীয়তা অবলম্বনের চেষ্টা করে। কাছের মানুষের কাছে হেরোইন সেবনে তার কার্যকলাপ এবং অবস্থান গোপন করতে প্রচুর মিথ্যার আশ্রয় নেবে এবং বানিয়ে অনেক গল্প বলবে। এ ছাড়া তারা শরীরে হেরোইন সেবনের ফলে ইঞ্জেকশনের দাগ লুকাতে চাইবে।
Post a Comment