রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মৃত্যুহার বাড়তে পারে ৬০ শতাংশ, কিন্তু কেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে তাপমাত্রা। দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ, অনেক দেশে গেল কয়েক দশকের মধ্যে এবার রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা। এরমধ্যেই এক আঁতকে ওঠার খবর দিয়েছেন একদল গবেষক। তাদের দাবি রাতের অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে এই শতাব্দির শেষ নাগাদ মৃত্যুহার বাড়তে পারে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।

গবেষকদের দাবি, তাপমাত্রার এই উলম্ফন মানুষের ঘুমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার ফলে হৃদরোগ, মানসিক অস্থিরতা-অশান্তিসহ নানা ধরনের রোগ বাড়তে পারে। আর এই রোগবৃদ্ধি মানুষকে আরও বেশি ঠেলে দেবে মৃত্যুর দিকে।

২০৯০ সালের মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের ২৮টি শহরে রাতের তাপমাত্রা গড়ে ৬৮.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১০৩.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে গবেষণায়। 
চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণার অন্যতম লেখক ড. হাইডং কান বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, মানুষকে এর সাথে মানিয়ে নিতে হবে; আর আমাদের উচিত মানিয়ে নিতে বা এই অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে এমন কার্যকর উপায় তৈরি করা।’’ 

এক্ষেত্রে ড. কান মনে করেন, ভবিষ্যতে দাবদাহের সতর্কব্যবস্থা তৈরির সময় রাতেরবেলার উত্তাপের বিষয়টি অবশ্যই বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে, যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের অতিরিক্ত ব্যয় বহনের সক্ষমতা নেই।

এই গবেষকরা মনে করেন, রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি কেউ গুরুত্বের সাথে দেখছে না।

তবে, গবেষকরা এশিয়া অঞ্চলের বাকি অংশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এই গবেষণার ফলাফল আপাতত প্রয়োগ না করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কারণ তারা এখনও এ সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী তথ্য বিশ্লেষণ করেননি।

চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.