পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু এই মন্দিরে উঠতেই সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা !

ODD বাংলা ডেস্ক: দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের উইলিং পর্বতমালার সর্বোচ্চ চূড়া হলো ফানজিংশান। এর পুরো নাম মাউন্ট ফানজিংশান। চীনা শব্দ ‘ফানজিংশান’ এর অর্থ হলো বৌদ্ধের প্রশান্তি। আবার সংক্ষেপে ফানজিং পর্বত নামেও পরিচিত।
এটি চীনের গুইঝো প্রদেশে অবস্থিত একটি আধ্যাত্মিক স্থান। প্রাকৃতিক গঠন এবং ইতিহাস বিজড়িত এই পর্বতটির আলাদাভাবে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে।বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি স্থান। 

লোকালয় থেকে বহুদূরে আধ্যাত্মিকতা চর্চার কেন্দ্র হিসেবে, যুগ যুগ ধরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা স্থানটি ব্যবহার করে আসছেন। চীনে বৌদ্ধরা এই পাহাড়ের চূড়ায় আলোকপ্রাপ্তির জায়গা হিসেবে মনে করেন।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এটি। এর শিখর একেবারে উপরের অংশে দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। এর দুই অংশে দু'টি মন্দির রয়েছে। একটি সরু সেতু দুই চূড়াকে যুক্ত করেছে।

গোটা এলাকা জুড়ে শিলা গঠন এবং সমৃদ্ধ জীব-বৈচিত্র থাকায় এই স্থানটি প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থানে পরিণত হয়েছে। পর্বতের চূড়া থেকে গোটা স্থানটি দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।

একদিকে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, অন্যদিকে ধর্মীয় উপাসনালয়। গোটা এলাকা জুড়ে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির গাছ রয়েছে। এখানে ১৯ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীও দেখা মেলে।   

যেমন গুইঝো সোনালি বানরের দেখা পাওয়া যায় এখানে। তাই এখানকার পুরো অঞ্চলটি এখন সংরক্ষিত বনাঞ্চল। পাহাড়টি ৮ হাজার ৪৩০ ফুট উঁচু। 

তাই মন্দিরে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। এখান থেকে হেঁটে ওই পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা সময় লাগবে। পুরোটা পথ খাঁড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়।  

তবে এর চূড়ায় উঠতে পারলে, কষ্টের তুলনায় প্রাপ্তিই বেশি। এখানকার প্রকৃতিক সৌন্দর্য, জীব বৈচিত্র্য এবং নির্জনতা মানসিক প্রশান্তি দিতে বাধ্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.