যে মসলায় ডায়েট, সেই মসলায় রূপচর্চা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মেথির ব্যবহার ছিল সুদূর অতীতেও। প্রাচীন সুমেরীয় ও মিশরীয় সভ্যতায় যে মেথি খাওয়া হত, তার প্রমাণ পেয়েছেন ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিকরা। শারীরিক সুস্থতা এবং রূপচর্চায় মেথির উপকারিতা অনেক। এই মশলায় আরো গুণ আছে: 

ওজন হ্রাস: 


ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন মেথি। দুই গ্লাস জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এক চা চামচ মেথিদানা। সকালে খালি পেটে ছেঁকে নিয়ে ওই মিশ্রণ পান করুন। মেদ এবং ওজন কমাতে এই হেল্থ টনিকের জুড়ি নেই।


বদহজম ও অ্যাসিডিটি দূর:


অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরা মেথি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে দেয়। মেথি ভেজানো জলের পাশাপাশি রান্নাতেও মেথি দিন। পেটের সমস্যা দূর হবে।


কোলেস্টেরল কমায়:


নিয়মিত মেথি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। মেথির প্রভাবে ক্ষুদ্রান্ত্র কোলেস্টেরল গ্রহণ করে না। ফলে দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড-এর মাত্রা লাগামছাড়া হতে পারে না। মেথি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে


শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না:


মেথিতে থাকা গ্যালাক্টোম্যানানের প্রভাবে শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। মেথির অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্য অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপাদিত ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই শর্করা রোগীর ডায়েটে মেথি খুব গুরুত্বপূর্ণ।


ঋতুস্রাবের কষ্ট হ্রাস:


ঋতুস্রাবের সময় নারীরা ভেজানো মেথিদানা চিবিয়ে খেলে উপকার পেয়ে থাকেন। মেথিতে থাকা যৌগ এই সময়কার পেটের যন্ত্রণায় উপশম দিতে খুবই কার্যকর।


হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:


গ্যালাক্টোম্যানান ছাড়াও মেথিতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। ফলে মেথি খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।


কিডনি ভালো রাখে:


মেথিদানার প্রভাবে কিডনি ভালো ভাবে কাজ করে। কিডনির কোষও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় মেথি সেবনে।


মেথির ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারি


সুস্থতার পাশাপাশি রূপ সৌন্দর্য রক্ষাতেও মেথি অপরিহার্য। মেথির ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এক চামচ মেথিবাটা বা মেথিগুঁড়োকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটিকে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। রাতভর ভিজিয়ে রাখা মেথিদানা পেস্ট করে মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর সেটি ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে মুখের সব অংশে খুব ভাল করে লাগান। মেথিদানা ভেজানো জলটুকু ফেলবেন না। ওতে তুলো ভিজিয়ে ক্লিঞ্জার হিসেবে ব্যবহার করুন। ত্বকের গভীরে ঢুকে ধুলো ময়লা তেল বের করে আনে এই রূপটান। আবার মেথিদানা ভেজানো জল ফেসিয়াল টোনারের ভূমিকাও পালন করে। বোতলে ভরে রেখে দিন মেথি ভেজানো জল। তারপর ময়শ্চারাইজার লাগানোর আগে ওই মিশ্রণ দিয়ে স্কিন টোনিং করে নিন।


স্ক্রাবার ও ময়শ্চারাইজার হিসেবে:


ভেজানো মেথিদানা পেস্ট করে ওই মিশ্রণ দিয়ে স্ক্রাব করলেও ত্বক উজ্জ্বল হয়। মরা কোষ ঝেরে ফেলে এবং বাড়তি তেল মুছে আপনার ত্বককে ঝকঝকে করে তোলে মেথির স্ক্রাবার। আবার এই একই মিশ্রণ টক দই এবং মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।


ত্বকের কালচে ভাব দূর করে:


মেথির ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে ত্বকের দাগছোপ এবং বয়সের রেখা দূর করে। রাতে ভেজানো মেথি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পরের দিন সকালে একটি মিশ্রণ বানান। কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.