বর্ষার মরশুমে রোগ মুক্ত রাখুন বাচ্চাকে, শিশুর যত্নের রইল ১০টি বিশেষ টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একদিকে করোনার চতুর্থ ঢেউ, অন্য দিকে মাঙ্কি পক্স সঙ্গে বাড়ছে টমেটো ফ্লু। চারিদিকে নানা রকম ভাইরাস। এই সময়টা বাচ্চাদের জন্য খুবই কঠিন। ছোট শিশুরা বর্ষার মরশুমে নানান রকম সমস্যায় ভুগে থাকে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয় এই সময় সুস্থ রাখতে শুধু ডাক্তারের চেকআপ করালেই হল না। প্রয়োজন সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তা না হলে বাচ্চা যে কোনও রোগ আক্রান্ত হতে পারে। বর্ষার সময় বাচ্চার নিন বিশেষ যত্ন। এই সময় চারিদিকে জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই অসতর্ক থাকলে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এবার বাচ্চার যত্নে নিন এই ১০টি পদক্ষেপ। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে এই কয়টি জিনিস সব সময় মাথায় রাখুন।       


মশার কামড় থেকে সাবধান। বর্ষার সময় চারিদিকে জল দাঁড়িয়ে থাকে। যাতে মশা ডিম পাড়ে। অন্য দিকে, এই সময় যে কোনও পোকামাকড়ের সংখ্যাই বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকুন। বাচ্চাকে এই সময় মশারির ভিতর রাখুন। তা না হলে যে কোনও পোকা কামাড়ে বিপদে পড়তে পারেন। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। 


সঠিক পোশাক পরান বাচ্চাকে। এই সময় সুতির পোশাক পরানোই ভালো। বর্ষার সময় সহজে জামা শুকনো হতে চায় না। তাই স্যাতসেঁতে ভাব থেকে যায়। এর থেকে বাচ্চার ঠান্ডা লাগতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার জামা যেন পুরোপুরি শুকনো থাকে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। তবেই বাচ্চার সুস্থ থাকবে বর্ষার মরশুমে।  


ফোটানো জল খাওয়ান বাচ্চাকে। এতে জলে থাকা সব জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে। জল থেকে দ্রুত জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এই সময় খাবার জলে সামান্য নোংরা জল মিশে গেলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাকে রোজ ফোটানো জল খাওয়ান। তবে সে সুস্থ থাকবে। পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা কম হবে। মেনে চলুন এই নিয়ম। 


অজান্তে আমাদের হাতে জীবাণু থেকে যায়। তা বাচ্চার গায়ে লেগে গেলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই বাচ্চাকে স্পর্শ করার আগে সব সময় হাত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন অথবা ব্যবহার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। মেনে চলুন বিশেষ নিয়ম। হাত পরিষ্কার করবেন সঠিক ভাবে। 


বাচ্চার খেলনা পরিষ্কার করে রাখুন। এই ভুল অধিকাংশই করে থাকেন। বাচ্চার খেলনা পরিষ্কার না করলে তার থেকে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। বাচ্চার খেলানাতে জীবাণু থেকে যায়। তা সে মুখে দিলে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করবে। তাই রোজ নিয়ম করে স্যানিটাইজ করুন বাচ্চার খেলনা।  


এই সময় বাচ্চারা জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটের সমস্যায় ভোগে। বাচ্চার সামান্য জ্বরের লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সমস্যা বাড়তে দেবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই শুরুতেই সচেতন হন। সারাক্ষণ বাচ্চার গায়ের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন। কোনও রকম জটিলতা উপেক্ষা করবেন না।     


খাওয়া দাওয়া দিকে বিশেষ খেয়াল দিন। বাচ্চাকে এমন খাবার খাওয়ান যা সহজে হজম হয়। অধিকাংশ বাচ্চা এই সময় পেটের সমস্যায় ভোগেন। তাই খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়ান। এমন খাবার খাওয়ান যাতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মেনে চলুন বিশেষ টিপস। 


ফ্লু এর ভ্যাকসিন দিন বাচ্চাকে। যারা প্রায়শই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন তারা ফ্লু এর ভ্যাকসিন নিতে পারেন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন এই প্রসঙ্গে। সঠিক প্রতিষেধক দ্বারা এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। বাচ্চার ছোটখাটো কোনও সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। 


বাচ্চাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। এই ধরনের খাবার বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। খাদ্যতালিকায় রাখুন সবজি ও ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান থাকে। যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। বাচ্চার ছোটখাটো কোনও সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। 


ডায়পার বদল করুন বারে বারে। ভিজে ডায়পার থেকে বাচ্চার ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই বিষয় খেয়াল রাখুন। বাচ্চার ডায়পার নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদল করুন। বর্ষার মরশুমে সে ভুলেও যেন ঠান্ডায় না থাকে, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। বর্তমানে বহু বাচ্চা টমেটো ফ্লু এর সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সব বিষয় খেয়াল রাখুন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.