কলকাতা থেকে নাসায় পাড়ি, সঙ্গে খেতাব গ্ল্যাম কুইনের-সৌন্দর্য ও মেধার সার্থকনামা শর্মিষ্ঠা বসু
ODD বাংলা ডেস্ক: রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। আর কিই বা বলা যায় এই মেয়েকে। তাঁর ঝুলিতে যেমন রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক। তেমনই মিস গ্ল্যাম কুইন কলকাতা - ২০২১ খেতাব রয়েছে তাঁর নামে। একদিকে বিউটি কুইন, অন্যদিকে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপিকা থেকে নাসায় পাড়ি। বঙ্গললনা শর্মিষ্ঠা বসু এই বাঙালি কন্যা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কলকাতার রেড কার্পেট থেকে নাসার মঞ্চ।
শর্মিষ্ঠা বসু
২০১৯ সালে জুন মাসে মেরিল্যান্ড নাসায় হাজির হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক নানা বিষয়ে চলেছিল আলোচনা। সেখানে নজর কেড়েছিলেন বাঙালি কন্যা শর্মিষ্ঠা।
শর্মিষ্ঠা বসু
শর্মিষ্ঠা জানান মহাকাশ বিজ্ঞান তাঁর প্রবল পছন্দের বিষয়। ২০১৮ সালে ইসরোতে একটি সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান তিনি। সেখান থেকেই খুলে যায় নাসার দরজা। এখন তিনি নাসার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট।
শর্মিষ্ঠা বসু
এক ঝাঁক বর্ষীয়ান বিজ্ঞানীদের মাঝে শর্মিষ্ঠা ছিলেন সর্বকনিষ্ঠা। ন্যানো স্যাটেলাইটের ওপর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন তিনি। গোটা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একমাত্র তাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
শর্মিষ্ঠা বসু
২০১২ সালের স্নাতক, পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন বিদ্যা দুটোতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, সেই সঙ্গে পিএইচডি পদার্থবিদ্যায়। পাঁচ বছর ধরে বেহালা কলেজে অধ্যাপনা করেছেন শর্মিষ্ঠা।
শর্মিষ্ঠা বসু
এখানেই শেষ নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক হিসেবে স্ক্রুটিনাইজার হিসেবে কাজ করেছেন বছর পাঁচেক। ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস তাঁর পড়াশোনা ও গবেষণার সার্বিক মূল্যায়ন করে তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছে।
বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। গবেষণার জন্য ২০১৯ সালের ২৫শে জানুয়ারি মাইকেল মধুসূদন অ্যাকাডেমি থেকে স্বর্ণপদক পান। এখনও পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোট ১৭টি পদক এসেছে তাঁর ঝুলিতে।
শর্মিষ্ঠা বসু
এতো গেল পড়াশুনোর জাহাজ বোঝাই তথ্য। মিস গ্ল্যাম কুইন কলকাতা -২০২১ খেতাব জয় কীভাবে.. শর্মিষ্ঠা বলেন ছোটবেলা থেকে সৌন্দর্যের ব্যাপারে খুব একটা সচেতন ছিলেন না তিনি। তাঁর মতে বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, অন্তরের সৌন্দর্যই আসল সম্পদ।কিছুটা মজা করেই এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নাম দেন তিনি। অদ্ভুতভাবে এই প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা শিরোপা ওঠে তাঁর মাথায়।
শর্মিষ্ঠা বসু
তাঁর জীবনের যাবতীয় সাফল্যের পিছনে বাবা মায়ের অবদানকেই সামনে রাখতে চান এই কন্যা। বাবা মা যেভাবে প্রথম থেকে উৎসাহ ও সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, তা না হলে তিনি এই জায়গায় পৌঁছতে পারতেন না বলে মনে করেন শর্মিষ্ঠা।
Post a Comment