বাবা-মা'র বিচ্ছেদের পর ঠাম্মার কাছেই মানুষ, রতন টাটার প্রেমকাহিনি হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও


Odd বাংলা ডেস্ক: শিল্পপতি রতন টাটা কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু না-জানা কথা। একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে রতন টাটা জানিয়েছিলেন, কলেজে স্নাতক হয়ে লস অ্যাঞেলেস-এ কাজ করার সময় তাঁর প্রায় বিয়েই হয়ে যাচ্ছিল। তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর তাঁর ঠাকুমার ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা। ঠাকুমার কাছ থেকেই জাবনের মূল্যবোধগুলি শেখা। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে প্রেমে পড়া, শেষ পর্যন্ত দুজনের সম্পর্কও বিচ্ছেদের পথে গড়ায়। সব মিলিয়েই বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।

রতন টাটার বাবা-মা নাভাল এবং সুনি টাটা যখন বিবাহ বিচ্ছেদের পথে এগোন, তথন রতন টাটার বয়স মাত্র ১০ বছর। তখন থেকেই তিনি তাঁর ঠাকুমা নভজবাই টাটর কাছে বড় হতে শুরু করেন। বিখ্যাত শিল্পপতি তাঁর জীবনের মুল্যবোধের শিক্ষা পেয়ছিলেন কিন্তু নিজের ঠাকুমার কাছ থেকেই। 

টাটা বলেন, তাঁর ভাল করে মনে আছে ডব্লু ডব্লু২-এর পর তিনি তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে গ্রীষ্মের ছুটিতে লন্ডনে নিয়ে যান। সেখানেই বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে ঠাকুমা তাঁদের শেখাতেন, কোন কথাটা বলা উচিত নয়, কোন বিষয়ে চুপ করে থাকাই শ্রেয় ইত্যাদি নানা মূল্যবোধ শিক্ষা তাঁদের হয়েছিল ঠাকুমার কাছ থেকেই।

ছো থেকেই বাবার সঙ্গে যে তাঁর চূড়ান্ত মতপার্থক্য ছিল, সেই কথাও বললেন টাটা। ছোটবেলায় তিনি চেয়েছিলেন বেহালা বাজানো শিখতে, কিন্তু তাঁর বাবা চাইতেন তাঁকে পিয়ানো শেখাতে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলেজে যেতে চেয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। তিনি স্থপতি হতে চেয়েছিলেন, বাবা তাঁকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঠাম্মার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে পেরেছিলেন তিনি। এরপর আর্কিটেকচারে স্নাতক লাভ করে, বাবাকে একপ্রকার হতাশ করেই লস এঞ্জেলস-এ দীর্ঘ ২ বছর একটি চাকরি করেন। সেই সময় তাঁর জীবন খুবই সুখের ছিল। তাঁর নিজস্ব গাড়ি ছিল, চাকরিজীবন খুবই উপভোগ করতে তিনি। 

এরপর কালের নিয়মে জীবনে আসে প্রেমও। লস এঞ্জেলস-এ প্রায় বিয়েই সেরে ফেলতে চলেছিলেন টাটা। কিন্তু তাঁর ঠাকুমার শরীর ভাল না থাকায় তিনি ভারতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই ভেবেই তিনি সেই সময়ের মতো বিয়ে স্থগিত রাখেন কারণ টাটা মনে করেছিলেন যাঁকে তিনি ভালবাসেন তিনিও তাঁর সঙ্গে ভারতে চলে আসবেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা এই সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন না। এর ফলে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.