সমুদ্র সৈকত যেন লাল গালিচায় মোড়ানো, কেন এমন হয়?



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজারো অত্যাশ্চর্য স্থান। তেমনই এক অত্যাশ্চর্য স্থান হলো লাল সৈকত বা রেড বিচ। এই বিচ উত্তর-পূর্ব চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের সবচেয়ে বড় ও সংরক্ষিত লাল প্রাকৃতিক জলাশয়। 

যেখানে বছরের একটা সময় পুরো সৈকত ঢাকা পরে লাল রঙে। দুর্লভ সামুদ্রিক ঘাস‘সুয়েদা সালসা’র কারণে লাল রঙে আবৃত থাকে পুরো সৈকত। দেখে মনে হয় সমুদ্র সৈকত মানেই বালি আর বালি। সমুদ্রের যত দূরে তাকাবেন শুধু জল আর জল। আর পায়ের নিচে থাকবে বালি। এটাই তো নিয়ম, তাই না? তবে প্রকৃতির বিস্ময় নিয়ে বসে আছে চীনের পানজিন রেড বিচ। বিশ্বে লাল সমুদ্র সৈকত হিসেবেও এটি পরিচিত।


এই সমুদ্র সৈকতটি আর দশটা সমুদ্র সৈকতের মতো নয়। কোথাও বালু নেই। কেবল লাল আর লাল। যেন লাল গালিচায় মোড়ানো। নান্দনিকতার গুণে এটি পরিচিত ‘রাঙা সৈকত’না রঙিন নামেও। পান জিনের এমন রূপ ধরা দেয় শুধুই শরতে। অন্যান্য ঋতুতে থাকে সবুজে ঢাকা। মাটিতে অতিরিক্ত লবণের জন্য সুয়েদা সালসা নামে রক্তিম ঘাস ও আগাছা জন্মে এপ্রিল-মে মাসের দিকে। এছাড়া গ্রীষ্মসহ অন্য ঋতুতে থাকে সবুজাভ সামুদ্রিক ঘাসে ভরা।


শরৎ এলেই বদলে যায় সৈকতের চেহারা। সবুজ পাল্টে হয় ক্রিমসন রেড বা লাল রং। প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সৈকতটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাল জলাভূমি। যা চীনের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ।


তবে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় সৈকতের ছোট একটি অংশ। কেবল রঙই নয় বিরল প্রাণীর জন্যও অনন্য পানজিন। এই জলাভূমিতেই আবাস লাল মুকুট বক, সাউন্ডার্স সিগাল, সারসসহ ২৬০ প্রজাতির পাখি ও প্রায় ৪০০ জাতের বুনো প্রাণীর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.