বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শিশু

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিলাসবহুল জীবন যাত্রার কারণ এই মাত্র নয় বছর বয়সেই ‘বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মুহাম্মদ আউয়াল মুস্তাফা। মোমফা জুনিয়র নামেই সে বেশি পরিচিত। এই বয়সেই প্রাসাদ, প্রাইভেট জেট, বিলাসবহুল সুপারকারের মালিক মোমফা! 

এখনই ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের মালিক সে। যদিও বয়স অনেকের কাছেই একটি সংখ্যা মাত্র তাও ভাবুন, মাত্র ছয় বছর বয়সেই মোমফা বিলাস বহুল প্রাসাদের মালিক হয়েছেন। জুনিয়র বিশ্ব ভ্রমণ করে একটি প্রাইভেট জেটে চড়ে। আর তার গ্যারাজে, ফেরারি, বেন্টলি ফ্লাইং স্পার, রোলস-রয়েস ওয়েথের মতো সুপারকারের ছড়াছড়ি।


ছয় বছর বয়সে পাওয়া প্রাসাদটি ছাড়াও, তার আরো বেশ কয়েকটি প্রাসাদ রয়েছে। তাকে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সুপারকারগুলোর পাশে, ভার্সেস বা গুচির মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্টাইলিশ এবং ডিজাইনার পোশাক পরে ছবি দিতে দেখা যায়।  



মাল্টিমিলিয়নেয়ার নাইজেরিয়ান ইন্টারনেট সেলিব্রিটি ইসমাইলিয়া মুস্তাফা মুহাম্মদ আউয়াল মুস্তাফার ছেলে এই মোমফা। প্রায়ই বাবার ইনস্টাগ্রাম পেজে মোমফা জুনিয়র এবং তার ছোট বোনকে দেখা যায়। বাবার মতোই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার পথেই এগোচ্ছে মোমফা। এখনই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্সের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।  


কোনো ছবিতে দেখা যায় সে একটি প্রাইভেট জেটের ভেতরে বসে খাবার খাচ্ছে। কোনো ছবিতে দেখা যায় তার গাড়ির সংগ্রহ। ছবিগুলোর ক্যাপশনে কোথাও লেখা থাকে ‘হ্যাপি বার্থডে টু মি’, অর্থাৎ সে নিজেই নিজেকে জন্মদিনে উপহার দিয়েছে। কোথাও বলা থাকে ‘থ্যাঙ্কস ড্যাডি’, অর্থাৎ সেই উপহার সে তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছে। এই অ্যাকাউন্টেই এই খুদে বিলিয়নিয়ারের বিলাস বহুল জীবনধারার ছবি দেখা যায়।


মোমফার মতো আরো কিছু শীর্ষস্থানীয় শিশু রয়েছে- 



যেমন সাত বছরের শিশু রায়ান কাজীর নিজের উপার্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ডলার। রায়ান কাজী যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। ইউটিউবে তার সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিওগুলোতে দেখা যায় সে তার উপহারের বাক্স খুলে বিভিন্ন খেলনা বের করে। সেই খেলনাগুলো পর্যালোচনা করে রিভিউ দেয় রায়ান। এভাবে ঘণ্টায় অন্তত দুই হাজার ডলার উপার্জন করছে এই শিশু। এভাবে আয়ের দিক থেকে বহু রথী মহারথীকে পেছনে ফেলেছে রায়ান কাজী। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রায়ান কাজী আয় করেছে এক কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে রাজস্ব হিসেবে আয় করেছে দুই কোটি ২০ লাখ ডলার। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার। ইউটিউব প্লাটফর্মে বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে তার এই আয় পাহাড়সম।


একই ভাবে ইউটিউবের মাধ্যমে অল্প বয়সেই তারকাখ্যাতি অর্জন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার বোরাম। আট মিলিয়ন মার্কিন ডলারে একটি বাড়ি কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। বোরামের দুইটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট রয়েছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে। বোরাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওগুলো ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। বোরাম পুরো অর্থ জোগাড় করেছেন নিজের উপার্জন থেকে। একটি চ্যানেলে বাজারে আসা নতুন নতুন খেলার রিভিউ পোস্ট করেন সে। অপর চ্যানেলটি হচ্ছে ভিডিও ব্লগ। দুই চ্যানেল মিলিয়ে বোরামের অনুসারি সংখ্যা প্রচুর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.