ইনিই হলেন দেশের প্রথম মহিলা কুলি, ভারতের নারীই পারে
Odd বাংলা ডেস্ক: মেয়েরা সব পারে। এত দিন ধরে এই অভিশপ্ত সমাজে বদনাম, অপমানের ভার বহন করতে পারে যে নারী সমাজ, তাদের কাছে মালপত্র বহন তো সামান্য ব্যপারই বটে! কিন্তু রেলওয়ে স্টেশনে মহিলা কুলিদের মালপত্র বহন করতে আপনি নিশ্চয় দেখেননি। তবে মধ্যপ্রদেশের কাটনি রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজে যোগ দিয়েছেন সন্ধ্যা মারাভি। ইনিই দেশের প্রথম মহিলা কুলি।
আরও পড়ুন- ভিক্ষা করেই কয়েক হাজার শিশুকে দিয়েছেন আশ্রয়, তিনি 'অনাথ জননী' সিন্ধুতাই
আরও পড়ুন- ভিক্ষা করেই কয়েক হাজার শিশুকে দিয়েছেন আশ্রয়, তিনি 'অনাথ জননী' সিন্ধুতাই
লাল রঙের পোশাক পরে হাতে ৩৬ নম্বর ব্যাজ লাগিয়ে সমাজের যাবতীয় গতানুগতিকতা ভেঙেছেন সন্ধ্যা। তবে শখ করে নাম কেনার জন্য নয়। ২০১৯-এর অক্টোবর মাসে মারা যায় সন্ধ্যার স্বামী। এরপর থেকে তিন সন্তান আর শাশুড়ি মায়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। তারপর থেকেই একাই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েন সন্ধ্যা। পরিবারের দায়িত্ব নিতে এমন কঠিন কাজ বেছে নেন তিনি। পরিবারে তিনি একমাত্র রোজগেরে।
আরও পড়ুন- ৫৯৯ জন ছেলের মাঝে একা মেয়ে পড়ুয়া হয়েও পরীক্ষায় প্রথম, আজ তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
আরও পড়ুন- ৫৯৯ জন ছেলের মাঝে একা মেয়ে পড়ুয়া হয়েও পরীক্ষায় প্রথম, আজ তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাতকারে, সন্ধ্যা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন রোগভোগের পর মারা যায় তাঁর স্বামী। স্বামীর অবর্তমানে তাঁর শাশুড়ি মা এবং তিন সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে তার ওপর। তাঁদের নিয়ে অথৈজলে পড়েন সন্ধ্যা। তাঁদের দায়িত্ব নেওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছিল। এরপর তিনি এই কুলির কাজই বেছে নেন। বাড়ির সমস্ত কাজ সেরে বাড়ি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কাটনি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান সন্ধ্যা। সেখানে আরও ৪৫ জন পুরুষ কুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে মাল বওয়ার কাজ করেন।
Working for Indian Railways, these lady coolies have proved that they are second to none !!— Ministry of Railways (@RailMinIndia) March 4, 2020
We salute them !! pic.twitter.com/UDoGATVwUZ
তাঁর এই ছবি শেয়ার করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষও। তবে এই ছবি দেখে অবশ্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের অনেকের দাবি, এমন কঠিন কাজ মেয়েদের করা উচিত নয়। ভারতীয় রেল-এর এই বিষয়ে গর্বের বদলে লজ্জা অনুভব হওয়া উচিত।
This is a disgrace. But instead of being ashamed of this primitive practice, our @RailMinIndia is proudly boasting of this exploitation of poor women to carry heavy head loads?! https://t.co/qPvqjBfarw— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) March 4, 2020
Post a Comment