ভয়ানক দৃশ্য ! তাকিয়ে আছে শত বছর আগে মৃত শিশু

ODD বাংলা ডেস্ক: শত বছরেরও বেশি আগে মারা গিয়েছে রোজালিয়া লোম্বারডো। কিন্তু এখনও সে যেন দিব্যি জীবিত শিশুর মতো তাকিয়ে আছে। তাকে মমি করে রাখা হয়েছে সিসিলিতে। সেখানে তাকে দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষের ভিড় বাড়ছে। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বলছে, রোজালিয়া মারা গিয়েছিল মাত্র দু’বছর বয়সে। কিন্তু এখনও যেন সে সজীব। তার মমি যেভাবে তাকিয়ে আছে, তাতে যেকোনো মানুষের হৃদয় বিগলিত হয়।

১৯২০ সালের ২রা ডিসেম্বর ছিল তার দ্বিতীয় জন্মদিন। কিন্তু এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় মারা যায় রোজালিয়া। ধারণা করা হয়, তার পিতা ছিলেন সম্পদশালী, ধনী।

তিনি মেয়ের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি তাকে মমি করার সিদ্ধান্ত নেন। তাকে মমি করে রাখা হয়েছে সিসিলির উত্তরাঞ্চলে পালেরমোতে অবস্থিত ক্যাপুচিন ক্যাটাকম্বসে। সেখানেই প্রদর্শিত হচ্ছে রোজালিয়া। প্রতি বছর তাকে দেখতে সেখানে ভিড় করছেন হাজার হাজার পর্যটক। তাদের কেউ কেউ বলেন, মেয়ে শিশুটি যেন গ্লাসের ভিতর থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে মিট মিট করছে।

তবে পর্যটকরা একটু বাড়িয়ে বলেছেন। আসলেই রোজালিয়া চোখ পিট পিট করছে না। তার চারদিকে বিজ্ঞানীরা আলোর শেড দেয়ার চেষ্টা করছেন। তা দেখেই লোকজন ওসব বলছে। পালেরমোতে ক্যাপুচিন ক্যাটাকম্বসে আছে কমপক্ষে ৮০০০ মৃতদেহ। এর মধ্যে ১৬৩টি শিশুর। একে বলা হচ্ছে ইউরোপে মমির সর্ববৃহৎ সংগ্রহ। এর মধ্যে বহু মমি শুকিয়ে কংকাল হয়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের দেহ চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাদেরকে দেখেই মনে হবে, তারা আরামে ঘুমাচ্ছে।

রোজালিয়ার মমি করা দেহ এতটা জীবন্ত। কারণ, হিসেবে মনে করা হয় তার দেহকে মমি করেছেন ফাদার আলফ্রেডো সালাফিয়া। তিনি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন জিঙ্ক, এসিড এবং এলকোহল। ফলে রোজালিয়ার স্বর্ণালী চুল, কিছুটা ফ্যাকাশে ত্বক এখনও দৃশ্যমান। এসব মমি নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনও রোজালিয়ার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো অক্ষত। তবে তার ব্রেন প্রকৃত আকারের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ শুকিয়ে গেছে। শরীরের ওপর একটি কম্বল বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা সরানো হয়নি।

তবে এক্স-রে’তে দেখা গেছে তার হাত এবং পা অক্ষত রয়েছে। স্ট্যাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির ড. কির্সটি স্কুইরেস বলেছেন, জানুয়ারিতে আমরা এ নিয়ে ফিল্ডওয়ার্ক শুরু করছি। আমরা একটি বহনযোগ্য এক্স-রে ইউনিট বহন করবো। তা ব্যবহার করে এসব শিশুর বিভিন্ন কোণ থেকে শত শত ছবি ধারণ করবো। তাদের অবস্থার পরিবর্তন, স্বাস্থ্য এবং পরিচয় সম্পর্কে এর মধ্য দিয়ে আমরা আরও ভালভাবে জানতে পারবো। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.