৫৯৯ জন ছেলের মাঝে একা মেয়ে পড়ুয়া হয়েও পরীক্ষায় প্রথম, আজ সেই মহিলায় ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান


Odd বাংলা ডেস্ক: ৬০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৫৯৯ জন ছেলে আর একা এক মেয়ে। আর তার মাঝেই প্রথম স্থান করল সেই মেয়েটি। এক ঝলকে আপনার মনে হতেই পারে যে, এটি কোনও সিনেমাপ গল্প। কিন্তু না বাস্তবেই এমন অসাধ্য সাধন করেছেন দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি। 

সুধা মূর্তি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার হওয়ার পাশাপাশি একাধারে একজন সুলেখিকা পাশাপাশি একজন মানবাধিকার কর্মীও বটে। একসময় পড়াশোনার জন্য দারুণ লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু আজ তিনি কর্ণাটকের গর্ব। রিয়েলিটি শো-এ এসে সুধা মূর্তি স্মৃতিচারণা করেছেন তাঁর শিক্ষাজীবন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে যখন তিনি কলেজে পড়বেন বলে স্থির করেন, সেইসময় তাঁর এলাকার অন্যান্য মেয়েরা সবদিক থেকেই অনেকখানি পিছিয়ে ছিল। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তিনি ভর্তি হন,সেখানে ৫৯৯ জন ছেলের সঙ্গে পড়তে গিয়েছেলেন তিনি একা একটি মেয়ে।

      
এতগুলি ছেলের মাঝে একা মেয়ে হওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষ তাঁকে শর্ত দিয়েছিলেন যে, তিনি কখনও ক্যান্টিনে যেতে পারবেন না, কোনও ছেলে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না এবং তাঁকে সবসময় শাড়ি পরে আসতে হবে। অধ্যক্ষের সব শর্তেই বিনা দ্বিধায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মোতাবেক এক বছর কলেজের কোনও ছেলের সঙ্গেই কথা বলেননি সুধা। কিন্তু এক বছর পর যখন পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করলেন তখন ছেলেরা নিজে থেকেই এগিয়ে এল তাঁর সঙ্গে কথা বলতে। তিনি আরও বলেন, দেবদাসী সম্প্রদায়ের জন্য কীভাবে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের হয়ে কীভাবে ১৬,০০০ টয়লেট গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন তিনি।  

পাশাপাশি বরাবরই খুব সাদামাটা জীবনযাপনেই অভ্যস্থ ছিলেন তিনি। গত ২১ বছরে নিজের জন্য একটি শাড়িও কেনেননি। নিজে একজন সুলেখিকা হওয়াায় তিনি এবং তাঁর স্বামী নারায়ণ মূর্তি দুটি লাইব্রেরি বানিয়েছেন, যেখানে প্রায় ২০,০০০ বই রয়েছে। সুধা মূর্তি মনে করেন, একজন লেখক সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর বই কেনা খুবই জরুরী। আর সেই কারণে তিনি নিজের বই কাউকে ধার দেওয়া পঠন্দ করেন না। কারণ তিনি বলেন, মানুষের উচিত বই কিনে পড়া, কারওর থেকে নিয়ে বই পড়ার পক্ষপাতী নন তিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.